অর্থনীতি

প্রাণ চিনিগুঁড়া চাল নবান্ন উৎসব শুরু বুধবার

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসব নবান্নকে শহরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘প্রাণ চিনিগুঁড়া চাল নবান্ন উৎসব’। আগামী ৩০ নভেম্বর ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবরে এই উৎসব শুরু হবে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ, ক্যাটাগরি ম্যানাজার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শোবিজ এন্টারটেইনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মেহেদি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎসবে থাকবে নবান্নের নাচ-গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, পুঁথি পাঠ, বায়োস্কপে গাজীর কিসসা, পালকি, লাঠি খেলা, সাপ খেলা ও বানর নাচ ইত্যাদি। এছাড়া রবীন্দ্রসরোবরে বসবে ৩২টি বাহারি পিঠার স্টল। উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে ফকির আলমগীর, কুদ্দুস বয়াতি, ফকির শাহাবউদ্দিন, কিরণচন্দ্র, চন্দনা মজুমদারসহ খ্যাতিমান শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। কোনো ধরনের টিকিট ছাড়াই সব শ্রেণী-পেশার মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনে শাহান শাহ আজাদ বলেন, প্রাণ চিনিগুঁড়া চাল গত ১৪ বছর ধরে বাজারে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, কালের বিবর্তনে দেশীয় ঐতিহ্য আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। এই ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায়, সে কারণে এই উৎসবে অংশ নিয়েছে প্রাণ চিনিগুঁড়া চাল। বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করে বর্তমানে প্রাণ তাদের পণ্য তৈরি করছে। আমাদের দেশের আবহমান গ্রাম-বাংলার কাছে অতিপরিচিত মুড়ির মোয়া দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা অনেকটাই দেশীয় সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের উপলব্ধি এই ঐতিহ্যগুলো যাতে হারিয়ে না যায়। তাই নবান্ন উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার অনুষ্ঠানগুলোতে প্রাণ গ্রুপ ভবিষ্যতেও অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি। এমএম/এমএমজেড/এনএইচ/এমএস

Advertisement