২০, ০, ১০, ২৪, ১৩, ৮, ১৮* = ৯৩। বিপিএলে আজকের আগে ৭ ম্যাচ খেলা ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতে এই হলো পরিসংখ্যান। সাত ম্যাচে সব মিলিয়ে ১০০ রানও করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সর্বসাকুল্যে ৯৩ রান। সর্বোচ্চ ২৪। এক ম্যাচে গোল্ডেন ডাকও মেরেছেন। চিটাগাংয়ে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ছিলেন ১৮ রানে অপরাজিত।শুধু ব্যাট হাতে নিষ্প্রভই নন, বল হাতেও সাকিব এবারের বিপিএলের পুরোপুরি অনুজ্জ্বল। আগের সাত ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট। প্রথম দুই ম্যাচে ১ উইকেট করে নেয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। এরপর বল হাতে সাকিবকে ঠিক ‘সাকিবে’র মত চেনা যাচ্ছিল না। টানা তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য। অবশেষে চট্টগ্রামে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ১টি নিয়ে উইকেট খরা ঘোচালেন তিনি।পৃথিবীব্যাপী নামকরা ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলো নিয়মিত খেলেন। আইপিএল, বিগব্যাস, সিপিএল, পিএসএল- সবগুলোই মাতিয়ে বেড়ান সাকিব। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এক সঙ্গে তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হয়েছিলেন। তিনিই কি না এবার বিপিএলে পুরোপুরি নিষ্প্রভ! বিষয়টা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিবের ভক্তরা।মেনে নিতে পারছিলেন না ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ এবং কর্মকর্তারাও। ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন কয়েকদিন আগেই জাগো নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সুজন বলেছিলেন, সাকিব একা খেললেই ম্যাচ জেতা সম্ভব। কারণ সবার বিশ্বাস বল হাতে না পারলে ব্যাট হাতে, ব্যাট হাতে না পারলে বল হাতেও সাকিব নিজের কাজ করে যান। দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।সেই সাকিব আল হাসান অবশেষে জ্বলে উঠলেন। মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও জ্বলে উঠলেন। মাশরাফির দলের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাঙ্গাকারা কিংবা মাহেলা জয়াবর্ধনেরা বেশ ভালোই সূচনা এনে দেন ঢাকাকে। তবে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৬ বলে ৪১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাকিব। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। সাকিবের ব্যাটে রান দেখে হাসি ফুটেছে তার ভক্ত-সমর্থকদের মুখেও। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও কুমিল্লার সামনে প্রভাব বিস্তার করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১টি।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement