২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এরইমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর। সুষ্ঠুভাবে যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠন করার জন্য নতুন আইন করে। এর আগে ১৯৮৮ সালে এইচএম এরশাদ সরকারের স্থানীয় সরকার পরিষদ আইনে অনির্বাচিতদের জেলা পরিষদে সরকার কর্তৃক চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান ছিল। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশের ৬১ জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ সরকার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তাদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। অবশেষে দীর্ঘদিন পর জেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি পেতে যাচ্ছে মানুষজন। যা খুবই আশার দিক। এটি শুধু জেলা পরিষদে নতুন গতিই আনবে না বরং জবাবদিহিতারও একটি জায়গা তৈরি হবে। দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটিও আলাদা তাৎপর্য বহন করে। সরকারি দল এরই মধ্যে ৬১ জেলায় তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি। জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। সব দল ও সরকার স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে কথা বলে আসলেও কাঙ্খিত মাত্রায় সেটি এখনো পৌঁছেনি। এ জন্য শুধু জেলা পরিষদের নির্বাচন হলেই সব শেষ হয়ে গেল বিষয়টি এমন নয়। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষদ যেন উন্নয়ন অগ্রগতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিকভাবেও স্বাধীনতা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ছাড়া কোনো উন্নয়ন অগ্রগতিই টেকসই হবে না। এইচআর/এমএস
Advertisement