মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচর, নিপীড়ন, গণহত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। নিজেদের শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের এমন অমানবিক আচরণের ঘটনায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। খবর বিবিসির।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানানোর জন্য অচিরেই কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করবে। তবে কবে এটা করা হবে তার সময়সীমা উল্লেখ করা হয় নি।মিয়ানমারে সহিংসতার প্রতিবাদে একটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট থেকে দল প্রত্যাহারের কথাও ভাবছিল মালয়েশিয়া কিন্তু পরে সেই চিন্তা থেকে সরে আসে তারা। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম একটি বিক্ষোভে অংশ নেয় দেয়।এদিকে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়ও রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে। এদিকে, গত বুধবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংস্থা প্রতিবাদ করছে।জাকার্তার বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সুচির নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সুচির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেভিড ম্যাথিয়েনসন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছেন সুচি। তাকে যারা মানবাধিকারের প্রতীক বলে মনে করত তারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।’রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সুচি মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় কেউ কেউ বলছেন, এতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর উপর অং সান সুচির কোন নিয়ন্ত্রণই নেই এবং তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর এমন অমানবিক অত্যাচারের সমর্থন করেন। টিটিএন/এমএস
Advertisement