শেষ বেলায় এসে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে মেলা। পাঠকের ভিড়ে, স্টলে স্টলে বই কেনাবেচায় সরগরম মেলা। মা-বাবা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে কিনেছেন বই। কেউ কেউ ছবি তুলছেন মেলায় আসা প্রিয় লেখকের সঙ্গে, নিচ্ছেন অটোগ্রাফ। ছবি তুলছেন ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন ধরে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে, আড্ডা দিয়ে কাটালেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।মেলায় এখন আর ছুটির দিন বলে আলাদা করা যাচ্ছে না। পাঠক মেলায় আসছেন বই কিনতেই। সব স্টলে বই চলে এসেছে। এখনো আসছে। বিক্রিও হচ্ছে। যারা ভালো বই প্রকাশ করে তাদের তো দীর্ঘদিনের একটা পরিচিতি রয়েছেই। নতুন প্রকাশকরাও শেষবেলায় এসে বলছেন বিক্রি ভালো।অনেকদিন ধরেই পাঠক-লেখক-প্রকাশকরা বইমেলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিলেন। শেষ সময়ে এসে মেলা কর্তৃপক্ষ তিনদিনের জন্য মেলার সময়সীমা দেড় ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেলা দু্টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বই মেলা। শেষ সময়ে এই সিদ্ধান্তে প্রকাশকরা খুব উচ্ছ্বসিত না হলেও আগামী বছর যেন এই সময়সীমা শুরু থেকেই নির্ধারণ করা হয়- সেই দাবি জানালেন তারা। বাংলাদেশ পুস্তক ও বিক্রেতা সমিতির চিঠির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে মেলা বিকাল ৩টার পরিবর্তে ২টার সময় খুলবে এবং বন্ধের সময় রাত সাড়ে ৮টার পরিবর্তে রাত ৯টা করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির সচিব ও মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন, মেলার দিন বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই।এআরএস/এমএস
Advertisement