হিজরি সনের ৬ষ্ঠ বছর জিলহজ মাসে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চৌদ্দশত সাহাবিকে নিয়ে ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র ভূমি মক্কা নগরীতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মক্কার কুরাইশ অবিশ্বাসীরা তাদের সে বছর ওমরা করতে বাঁধা প্রদান করে এবং ফিরিয়ে দেয়।পরবর্তীতে ফয়সালা হয় যে, মুসলিমরা ওমরা পালনে তিন দিনের জন্য মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে। তবে এ বছর নয় পরবর্তী বছর। এ সময়টা ছিল হারাম মাসের অন্তর্ভূক্ত। পরের বছর যখন মুসলিমরা ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র ভূমি মক্কায় রওয়ানা করেন, তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন। এবং যারা আল্লাহকে যাবতীয় কর্মকাণ্ডে ভয় করবেন, তাদের সফলতার কথাও তুলে ধরেছেন। এ সব বিষয়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-আয়াতের অনুবাদআয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ১৯৪নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেন যে, কুরাইশ অবিশ্বাসীরা যদি এ মর্যাদার মাসের সম্মান রক্ষা না করে এবং এ বছর ওমরা পালনে পবিত্র মক্কায় প্রবেশে বাঁধা দেয় তবে, তোমরাও এর মর্যাদার খেয়াল না করে তাদের সাথে পূর্ণ উদ্যমে অন্যায়ের মোকাবেলা কর।যেহেতু বিশ্বনবি আগের বার ওমরা পালন না করে ধৈর্য ধারণ করে মদিনায় ফিরে গেছেন। নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এবারো যদি তারা অনুরূপ আচরণ করে অর্থাৎ তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় তবে তোমরা পূর্বের ন্যায় নিষ্ক্রিয় থেকো না; বরং তাদেরকে সমুচিত জবাব দাও।সর্বাবস্থায় যাবতীয় কর্মকাণ্ডে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর, অন্য কাউকে নয়। আল্লাহ তাআলার হুকুমের খেলাপ কোনো কাজ করো না। আল্লাহর বিধান পালনে তাঁকে ভয় করতে থাকো। এবং নিশ্চিত এ কথা জেনে রাখো যে, যারা আল্লাহকে প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ভয় করবে; আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকবেন। তাদেরকে বিজয় দান করবেন।পড়ুন- সুরা বাকারার ১৯৩ নং আয়াতপরিষেশে...পবিত্র নগরী মক্কার তৎকালীন সময়ে হারাম মাসের মর্যাদা দানকারীদের মর্যাদা রক্ষার ঘোষণা রয়েছে এ আয়াতে। আর যারা এ মাসের মর্যাদা রক্ষা করবে না তাদের সঙ্গে এ অন্যায়ের মোকাবেলার নির্দেশও রয়েছে এ আয়াতে। সর্বোপরি, যারা আল্লাহর বিধান পালনের পাশাপাশি তাঁকে ভয় করবে। আল্লাহ তাদেরকেই বিজয় দান করবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ায় যাবতীয় কর্মকাণ্ডে শুধুমাত্র তাঁকেই ভয় করার তাওফিক দান করুন। তাঁর হুকুম পালন করে পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement