বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদক চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গে প্রদীপ বাউড়ি নামে সিপিএমের সাবেক এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। গত ১৪ নভেম্বর প্রদীপ বাউড়িকে গ্রেফতার করা হয় বলে শুক্রবার তার স্ত্রী চম্পা বাউড়ি সাংবাদিকদের জানান।ভারতের একটি দৈনিক পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্রদীপকে জেরা করে নোবেল পদক চুরি ও তা লোপাট করার ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এর আগে নোবেল পদক চুরির তদন্তে নেমে প্রদীপকে জেরা করেছিল সিবিআই।চম্পা বাউড়ি জানান, গত ১২ নভেম্বর ভোরে একদল লোক বোলপুর থানার মোলডাঙা গ্রামের বাড়ি থেকে বাউল গান করানোর নাম করে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। দু’দিন পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নোবেল পদক চুরির সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ বাউড়িকে।যদিও সিট শীর্ষকর্তারা এই গ্রেফতারের খবর সরাসরি অস্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, পদক চুরির তদন্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত হয় সিট।রাজ্য পুলিশের অপর একটি সূত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ১৯৯৮ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর বোলপুরের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ছিলেন এই ব্যক্তি। ২০০৪ সালের ২৪ মার্চ শান্তিনিকেতন থেকে ওই পদক চুরি হওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই টানা ১৩ দিন জেরা করেছিল প্রদীপ বাউরিকে।পেশায় বাউল প্রদীপের কাছে রাজ্য সরকারের লোকশিল্পী পরিচয়পত্রও (বিআইআর-১৫৬২) রয়েছে। এই ব্যক্তিকে ফের গ্রেফতারের ঘটনায় নতুন করে আলোড়ন শুরু হয়েছে। যদিও তার স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী এরকম কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। নোবেল চুরির মতো বড় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে, মাটির ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকতেন না তারা।অপরদিকে পত্রিকাটি জানায়, এর আগে মোহাম্মদ হোসেন শিপলু নামে এক বাংলাদেশি স্বর্ণকারকে ‘মূলহোতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।পশ্চিমবঙ্গ সিবিআই-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শিপলুকে ২০০৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল ঢাকার সিআইডি। এছাড়াও এক জার্মান নাগরিক এবং ইউরোপের এক পাচারকারী চক্রকে নোবেল পদক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।বিএ/এমএস
Advertisement