আন্তর্জাতিক

এশিয়ায় প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন

আঞ্চলিকভাবে নিজেদের প্রভাব আরো বাড়াতে এশিয়াজুড়ে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যয় করছে চীন। আবার অনেক ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়নে স্বল্প সুদে ঋণও দিচ্ছে দেশটি।শ্রীলংকার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগর হাম্বানটোটার এক বন্দর কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চল গাড়ি ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রানজিট কেন্দ্র। এখান থেকে অনেক গাড়িই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় পাঠানো হয়।’একসময় মাছ ও লবণ চাষের ওপর নির্ভরশীল এ শহর এখন ভারত সাগরের বুকে একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামিতে ভেসে যায় শহরটি, সেসঙ্গে বন্দরটিও প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ও চীন সরকারের ঋণসহায়তায় এ শহরে আবার প্রাণ ফিরে আসে। বন্দর সংস্কারে মোট ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ের ৮৫ শতাংশই দিয়েছিল চীন সরকার।শ্রীলংকা ছাড়াও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়নে সহায়তা করছে বেইজিং। মূলত শিপিং নেটওয়ার্ক গঠনে চীনাদেরই দেয়া নাম ‘মুক্তোর মালা’ গঠনের অংশ হিসেবেই এ সহায়তা করা হচ্ছে। চীনের প্রত্যাশা, শিপিং নেটওয়ার্ক তৈরি হলে এ অঞ্চলে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে তারা।নভেম্বরে মিয়ানমারে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সদস্য দেশগুলোর নেতাদের আরো গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।গত ১০ বছরকে চীন-আসিয়ানের স্বর্ণযুগ উল্লেখ করে লি জানান, পরবর্তী ১০ বছরকে ‘হীরক দশক’ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। এ মন্তব্য করার কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ১ হাজার কোটি ডলারের লাইন অব ক্রেডিট দেবে, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতের জন্য এ ঋণ দেয়া হবে। আঞ্চলিকভাবে প্রভাব বিস্তারে চীনের প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১ দশমিক ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার)। বিদেশি মুদ্রায় ব্যাংকটি এ পর্যন্ত ২৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।এআরএস/আরআইপি 

Advertisement