তার দল এখন সবার ওপরে। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে পয়েন্টে খুলনা টাইটান্সের সমান ১০ পয়েন্ট হলেও এক ম্যাচ কম খেলে সমান জয়ে টেবিলে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। ক্রিকেট যতই অনিশ্চিয়তার খেলা হোক না কেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পরতে পরতে যতই ওঠা নামার পালা চলুক না কেন- যে দল প্রথম ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জেতে, সে দল পরের ছয় মাচের সবকটায় হেরে বসবে- এমন ভাবার মানুষ কমই মিলবে। তাই রংপুরকে নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশার মাত্রা বেড়ে গেছে। বেশির ভাগ ক্রিকেটানুরাগী রংপুর রাইডার্সকে সেরা চারে রাখছেন। কিন্তু অবাক করার মতো তথ্য, রংপুর কোচ জাভেদ ওমর বেলিম এখনো অমন ভাবতে চান না। নিজ দলের অবস্থান সম্পর্কে তার মূল্যায়ন, ‘আমি এখনো নিজেদেরকে সেরা চারে নিশ্চিত ভাবতে নারাজ। কারণ খুলনা টাইটান্স আমাদের কাঁধের ওপর নিঃশ্বাস ছড়াচ্ছে। কাজেই নিশ্চিত ভাবার কিছুই নেই।’ রংপুর কোচ আরো দুটি ম্যাচ জিততে চান। এ সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘এখনো ছয়টা খেলা বাকি। অন্তত আরো দুটি ম্যাচ দেখে নিই। ঐ দুই ম্যাচের ফল অনুকূলে আসলেই কেবল বলা যাবে আমরা সেরা চারে।’ ঢাকা ডাইনামাইটস ও চিটাগাং ভাইকিংসের মতো কাগজে কলমে অতো সমৃদ্ধ দল না রংপুর। শীর্ষ তারকা বলতে ‘শহীদ আফ্রিদি।’ মাশরাফির মতো দল চাঙ্গা করার মতো নেতা নেই। তামিমের মতো ড্যাশিং ওপেনার নেই। মুশফিকের নির্ভরতা আর সাকিবের মতো ‘চ্যাম্পিয়ন পারফরমার’ নেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো কার্যকর অলরাউন্ডারের অভাব। তার পরেও রংপুর দুর্বার। মাঠের লড়াইয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে যে দলের জয়রথ সচল। কোন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এতটা পথ এগিয়ে থাকা? রংপুরের মূল শক্তি কি? প্রশিক্ষক জাভেদ ওমরের ধারণা, বোলিং বৈচিত্র্যই তার দলের মূল সম্পদ ও শক্তি। তার ভাষায়, ‘আমার দলের বোলিং বৈচিত্র্য অনেক। স্পিন ডিপার্টমেন্টে আছে অফ, বাঁহাতি ও লেগস্পিনারের সমারোহ। সোহাগ গাজীর মতো অফস্পিনার, বাঁ-হাতি আরাফাত সানি আর লেগস্পিনার শহীদ আফ্রিদির সন্মিলন আছে। যারা তিনজনই ভালো করছে।’ পরিসংখ্যানও তা-ই জানাচ্ছে। শহীদ আফ্রিদি ৬ খেলায় ১১ উইকেট দখল করে উইকেট শিকারে চার নম্বরে। সোহাগ গাজী ৯ উইকেট দখল করে আছেন নয় নম্বরে। আর ৬ খেলায় ৭ উইকেট পেয়ে আরাফাত সানি ১২ নম্বরে। পেস ডিপার্টমেন্টও অমন। রুবেল হোসেন জোরে বল করতে পারে। করছেও। সাথে আনোয়ার আলী। এআরবি/এনইউ/আরআইপি
Advertisement