কুমিল্লা শহরকে ‘পর্যটনের শহর’ বললে অত্যুক্তি হবে না। কিংবা একে পুরাকীর্তি বা প্রত্নতত্ত্বের শহরও বলা যেতে পারে। হাজার বছরের পুরাতন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন, স্থাপনা, পুরাকীর্তি কিংবা স্মৃতিচিহ্নের দেখা পেতে হলে যেতে হবে কুমিল্লায়। যা যা দেখবেনকবিতীর্থ, শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, লালমাই পাহাড়, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রানী ময়নামতি প্রাসাদ, মরানীর কুঠি, বলেশ্বর দীঘি, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, জাহাপুর জমিদার বাড়ি, ভোজ রাজার বাড়ি, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, ময়নামতি জাদুঘর প্রভৃতি ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ভাণ্ডার কুমিল্লা।যেভাবে যাবেনঢাকা থেকে যেকোনো বাসে কুমিল্লা যাওয়া যায়। ননএসি বাস ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা এবং এসি বাস ২৫০-৩০০ টাকা। কুমিল্লা শহরে পৌঁছতে সাধারণত সময় লাগে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে এশিয়া লাইন, তিশা, বিআরটিসি এবং ইকোনো সার্ভিস।অভ্যন্তরীণ যোগাযোগশহর থেকে বিভিন্ন জায়গা ঘোরার জন্য রয়েছে কার, হায়েস, সিএনজি এবং ইজিবাইক।কোথায় থাকবেনপর্যটকদের থাকার জন্য কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি উন্নতমানের হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোটেল নুরজাহান, বার্ড গেস্ট হাউজ, হোটেল কিউ প্যালেস, হোটেল গোল্ডেন ইন এবং রেড রুফ ইন। ভাড়া পড়বে প্রতি রাত ১৫০০-৪০০০ টাকা।কোথায় খাবেনপর্যটকদের খাবারের জন্য রয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ। এর মধ্যে কস্তুরি রেস্তোরাঁ, সিপি রেস্তোরাঁ এবং ভাই ভাই রেস্তোরাঁ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া কিছু টিনশেটের রেস্তোরাঁও রয়েছে।রসমালাইকুমিল্লা গিয়ে বিখ্যাত রসমালাই না খেলে আপনার ভ্রমণের পরিপূর্ণতা কখনোই আসবে না। এর মধ্যে শহরের পথে পথে অনেক রসমালাইয়ের দোকান রয়েছে। তবে আসল রসমালাই খেতে চাইলে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দির পাড় যেতে হবে। সেখান থেকে একটু পূর্বদিকে গিয়ে হক ম্যানশন এবং সাত্তার প্লাজার পাশেই রয়েছে কুমিল্লা মাতৃভাণ্ডার। যেখানে আপনি আসল রসমালাইয়ের সন্ধান পাবেন। প্রতি কেজির মূল্য ২৬০ টাকা। অবশিষ্টকুমিল্লা জেলার গোমতী, ডাকাতিয়া ও কাঁকরী নদীর সৌন্দর্য কম নয়। উপমহাদেশের বিখ্যাত সড়ক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড এ শহরের মধ্য দিয়েই অতিক্রম করেছে। সুতরাং প্রাচীন এ জনপদ ভ্রমণে আর দেরি কেন?লেখক: ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইন্টেলিজেন্ট ট্যুরিস্ট এইড (আইটিএ), ঢাকা।এসইউ/এমএস
Advertisement