জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা

আগামী ২৩ জানুয়ারি শুরু হবে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ সদর দফতর।আগামী পুলিশ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দরবার করার কথাও রয়েছে। জানাগেছে, এবারের পুলিশ সপ্তাহে একগুচ্ছ দাবি আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। এর মধ্যে আছে আবাসিক সংকটের সমাধান, পুলিশ আইন সংস্কার ও স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ গঠন, পুলিশি হেফাজতে মৃতদের বিষয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা পুলিশের হাতে রাখা, ঝুঁকি ভাতা আরো বৃদ্ধি প্রভৃতি।এ প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আগামী পুলিশ সপ্তাহ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু দাবি উত্থাপন করা হবে। তিনি জানান, এবার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দরবার কর্মসূচি রাখা হয়েছে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।জানাগেছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না—দীর্ঘদিনের এ অভিযোগ এবারের পুলিশ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরে প্রতিকারের দাবি জানানোর প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আবাসন ও যানবাহন সংকট দূর, স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ গঠন, ঝুঁকি ভাতা বাড়ানোসহ ১৮টি দাবি তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে দাবিনামার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে।একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দরবারে পুলিশের সব ইউনিট থেকে প্রতিনিধি রাখা হবে। কনস্টেবল থেকে ডিআইজি পর্যন্ত মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা থাকবেন। তিনি আরো জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বার্ষিক অনুষ্ঠানে দরবার হয়। এবার পুলিশ সপ্তাহে দরবার কর্মসূচি রাখা হয়েছে।বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘কী কী বিষয় তুলে ধরব সেটা এখনো চূড়ান্ত করিনি। পুলিশ সপ্তাহের আগে সভা ডেকে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করব।’জানাগেছে এবারের পুলিশ সপ্তাহে ২০০৭ সাল থেকে আটকে থাকা পুলিশ আইন নিয়ে আলোচনা হবে। এটি পাস হলে পুলিশের ওপর রাজনৈতিক খবরদারির সুযোগ কমবে। রাজনৈতিক চাপে পুলিশ সুপার থেকে আইজিপি পর্যন্ত কাউকে বদলি বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এছাড়া পুলিশে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তির মৌখিক, লিখিত বা টেলিফোনে সুপারিশ ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের থানাগুলোকে আরো আধুনিক করা ও মোবাইল ট্র্যাকার এবং আইসিটি সরঞ্জাম সরবরাহের দাবিও জানানো হবে।এমএমজেড/পিআর

Advertisement