দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজশাহী-ঢাকা রুটে আভ্যন্তরীণ বিমান সেবা চালু হচ্ছে আবার। আগামী ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানের ফ্লাইটের উদ্বোধন করা হবে। বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আপাতত সপ্তাহে তিনদিন একটি করে বিমান রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। তবে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিমানের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আবভন্তরীণ রুটে বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, বুধ ও শুক্রবার একটি করে বিমান চলাচল করবে।’ রাজশাহীর জন্য ইতিমধ্যে আভ্যন্তরীণ দুটি বিমান সংগ্রহ করা হয়েছে। বিমান বন্দরের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া টার্মিনাল স্থাপন, ফাইবার ফার্নিচার স্থাপন, সীমানা প্রাচীর সম্প্রসারণ ও পেট্রোল সড়কের সংস্কার শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রানওয়েসহ বিমানবন্দরের আনুসঙ্গিক সংস্কার ইতিমধ্যে শেষের পথে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু প্রায় ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে তিনদিন একটি করে ফ্লাইট চলাচল করবে। তবে যাত্রী বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে বিমানের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।’ এ সময় রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা প্রস্তাবে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অতি দ্রুতই রাজশাহী থেকে কার্গো বিমান চালু করারও ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত রাজশাহী শাহমখদুম বিমান বন্দর ছিল লাভজনক অবস্থানে। এরপর ধীরে ধীরে নানা কারণে বিমানের যাত্রী কমতে থাকে। মালামাল বুকিংয়ের পরিমাণও কমতে থাকে। কর্তৃপক্ষ ওই বছরেই সব কার্যক্রম চালু রেখে এই রুটে চলাচলকারী বিমান বন্ধ ঘোষণা করে। তবে ২০১০ সালে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বৈমানিক প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি যাত্রীবাহী বিমান চালু করার উদ্যোগ নিলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
Advertisement