ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান-প্রদানের অভিযোগে হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল। কিন্তু নিজের এমন সিদ্ধান্ত থেকে এখন পিছু হটেছেন নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি হিলারি ক্লিনটনকে আর কষ্ট দিতে চান না। নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ও রকম কিছু করলে বরং মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে।ট্রাম্পের মুখপাত্র কেলিএ্যান কনওয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প আরো জরুরি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চান। এখন তিনি হিলারিকে জেলে পাঠানোর বিষয়ে কিছু ভাবছেন না। তিনি আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ যে হিলারি ক্লিনটনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেনি- সেই সত্যের মুখোমুখি তাকে হতে হবে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটন ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান-প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।সেজন্য তাকে জেলে পাঠাবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প তার সমর্থকদের দিয়েছিলেন- তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প-সমর্থকেরা ভালোভাবে না-ও গ্রহণ করতে পারেন। ইতোমধ্যেই ট্রাম্পকে রীতিমতো বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ। নির্বাচনের সময় কঠোরভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন- এ রকম আরো বেশ কয়েকটি ইস্যুতেও ভিন্ন সুরে কথা বলছেন ট্রাম্প। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রচারণার সময় আষাঢ়ে গল্প বলে আখ্যা দিলেও এখন ট্রাম্প বলছেন বিষয়টি তিনি ভালোভাবে দেখতে চান।টিটিএন/এনএইচ/পিআর
Advertisement