ইতিহাদ এয়ারওয়েজের বাংলাদেশে ভ্রমণ পরিসেবার দশক পূর্তি হয়েছে। এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশে ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে ইতিহাদ। লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত হিজ এক্সিলেন্সি ড. সাইদ বিন হাজার আল শেহি প্রমুখ।লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকেরা।অনুষ্ঠানে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ঢাকায় দায়িত্বরত কর্মীদের বিশ্বস্ততা ও সহযোগিতার জন্যে সম্মাননা পুরস্কার দেন। এতে অংশগ্রহণ করেন কূটনীতিক, সরকারি ও এভিয়েশন কর্মকর্তারা, কর্পোরেট ও ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির পার্টনাররা।২০০৬ সালের ৪ মে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ফ্লাইট সেবা চালু করে, যা প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। দ্রুতই তা বেড়ে দৈনিক সেবায় রূপান্তরিত হয়। যাতে সংযুক্ত হয়েছে ৩৮০ আসনবিশিষ্ট অপেক্ষাকৃত সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ এক্সটেনডেড রেঞ্জ এয়ারক্র্যাফট।২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আবুধাবি-ঢাকা এবং অন্যান্য রুটে ১৫ লাখেরও বেশি অতিথিদের সেবা দিয়েছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।বাংলাদেশে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের জেনারেল ম্যানেজার হানিফ জাকারিয়া বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের কমপ্লিমেন্টারি বাস সার্ভিস আগমন ও প্রস্থানকালে ফ্লাইটের অতিথিদের যাতায়াত আরো সহজ করেছে। তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী অতিথিদের জন্য আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতিহাদের অনন্য ইউএস ফ্রি ক্লিয়ারেন্স ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রে ডোমেস্টিক প্যাসেঞ্জার হিসেবে প্রবেশের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে প্রবেশে অতিথিদের সাহায্য করে। যা ইতিহাদকে অন্যান্য এয়ারলাইন থেকে আলাদা করেছে।’উল্লেখ্য, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ঢাকায় ‘চয়েস টু চেঞ্জ এলিমেন্টারি স্কুল’-এর মাধ্যমে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একজন সাবেক কেবিন ক্রু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা, খাদ্য এবং প্রাথমিক হেলথ কেয়ার সুবিধা দেয়া হয়।আরএম/জেডএ/এনএইচ/পিআর
Advertisement