হোটেল রূপসী বাংলার সংস্কার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে না পারায় দায়ীদের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, হোটেল রূপসী বাংলার ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলার সংস্কারকাজ আগামী মার্চের মধ্যেই শেষ হবে। পাঁচ দশকের পুরনো এ হোটেলটি সংস্কারের পর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল হিসেবে যাত্রা শুরু করবে।বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য কামরুল আশরাফ খান জানান, রূপসী বাংলার সংস্কার কাজ বার বার পেছানো হচ্ছে। গত অক্টোবরে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে মার্চে শেষ হবে। এভাবে বার বার কাজ পেছানো ঠিক না। এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।জানা যায়, এর আগেও রূপসী বাংলার কাজের অগ্রগতির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তখন সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছিল নকশার ত্রুটির কারণে সংস্কারে দেরি হচ্ছে।কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, কামরুল আশরাফ খান, সাবিহা নাহার বেগম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপ ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এ হোটেলের ব্যবস্থাপনায় ছিল। ১৯৮৩ সালে ইন্টার কন্টিনেন্টাল বিদায় নেয়ার পর হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল শেরাটন। প্রায় ২৮ বছর পর ২০১১ সালের এপ্রিলে শেরাটন চলে যায়। ওই সময় থেকে রূপসী বাংলা নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই হোটেল। সরকারের মালিকানার হোটেলটি তখন পরিচালনার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড।সংস্কার কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয় হোটেলটি। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাজ শেষের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে অক্টোবরে করা হয়। এখন ২০১৭ সালের মার্চে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement