নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকল নাটকের অবসান ঘটিয়ে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন করার অনিহা প্রকাশ করায় বিএনপির হাই কমান্ড অ্যাড. সাখাওয়াত খানকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির বিদ্রোহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আলোচিত সাত খুন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে লড়ছেন। তিনি সাত খুন ঘটনার পর বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে আলোচনায় আসেন।নাসিক নির্বাচন নিয়ে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে বিভিন্ন ধরনের নাটক শুরু হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম, জেলা বিএনপির সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের নাম উল্লেখযোগ্য।তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জের বিএনপির একাধিক নেতাকে কেন্দ্রীয় বিএনপি তলব করে বৈঠক করেন এবং সকল নেতাদের মতামত নেন। ঐসময় তৈমুর আলম খন্দকার ও আবুল কালাম নির্বাচন না করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এটিএম কামাল ও অ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন খান নির্বাচন করার ইচ্ছে পোষণ করেন।বিএনপির একটি সূত্র জানান, তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন না করার জন্য ইতোপূর্বে ঘোষণা দেন। তাই অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আজ সোমবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে।অ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আশা করছি বিএনপি থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়া হবে। আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে নির্বাচনের মাধ্যমে দলের সম্মান রাখার চেষ্টা করবো। আর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। শাহাদাত হোসেন/এফএ/আরআইপি
Advertisement