দেশজুড়ে

চিঠি লিখতে পারিনি বলে সাহায্যও পাইনি

ছয় মাস পরে এক হাজার ৮০০ টাকা বয়স্কভাতায় চলে পাঁচজনের সংসার। বাবার দেয়া এক শতক জমির ওপর বাঁশ দিয়ে তৈরি ছোট্ট একটি ভাঙা ঘরে সবাইকে নিয়ে থাকেন ৭২ বছর বয়সী হালিমা বেগম। স্বামী ফরমান ফকির ২৫ বছর আগেই গত হয়েছেন। স্বামী থাকা অবস্থায় সুখে-শান্তিতে সংসার চললেও বর্তমানে বিভিন্ন বাসায় এবং হোটেলে কাজ করে চলে তার সংসার। মানুষের বাসায় কাজ করে এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন হালিমা। এখন বয়সের ভারে পারছেন না আর কাজ করতে। হালিমা বেগম শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর গ্রামের মৃত. জব্বার মুন্সীর মেয়ে। এক ছেলে, ছেলের বউ ও দুই নাতি নিয়ে তার সংসার। একমাত্র ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাসের অধিকাংশ সময়ই অসুস্থ থাকেন।এখন সংসার কীভাবে চলে জানতে চাইলে হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর বাসায় বাসায় কাজ করেছি। এখন বয়স হয়েছে তো আর পারি না। খুবই কষ্টে সংসার চলছে। দুই বছর হলো বয়স্কভাতার কার্ড পেয়েছি। প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে ছয় মাসে এক হাজার ৮০০ টাকা দেয়। তাতে সংসার চলে না। আমার ছেলে চাঁন মিয়া অনেক খাটে, তাও মাসের বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকে। ইটভাটায় কাজ করে যে টাকা পায়, তাতে তিনবেলা খাবার জোটে না। অনেক কষ্টে আছি। একটি ঘর তাও ভাঙা। টাকার অভাবে তুলতে পারছি না। কবে যে ঘরের নিচে পড়ে মারা যাই।তিনি আরো বলেন, তিন-চার মাস আগে এক স্যার এসেছে আমার বাড়িতে। আমাকে একটি দরখাস্ত লিখে পাঠাতে বলেছিল। দরখাস্ত লিখে দিলে সাহায্য দেবে বলেছে। আমি লিখতে না পারায় চিঠি পাঠাতে পারিনি। তাই আর সাহায্যও পাইনি।জানা যায়, চার মাস আগে গত ২৩ আগস্ট তথ্যসচিব শ্যামসুন্দর রুদ্রকর নীলমণি উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধনে এসে হালিমার ঘর দেখেন। হালিমার কষ্টের কথা শুনে। পরে তাকে দরখাস্ত লিখে পাঠাতে বলে। ছগির হোসেন/এফএ/এনএইচ/এমএস

Advertisement