আগামীতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) বন্ধ করা যায় কি না বা বিকল্প কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যায় কি না তা ভাবা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ এ ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আজিমপুরে অগ্রণী স্কুল ও কলেজে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।অনেক শিক্ষাবিদের অভিমত এ পরীক্ষা না থাকলে ভালো হয়। কয়েক দফার পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলছে। আগামীতে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ ব্যাপারে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় নেবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলে, আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার জন্য পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। শিক্ষা বিষেশজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, ২০১০ এর শিক্ষানীতির আওতায় পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো নিয়ে চলেছে মন্ত্রণালয়। আপাতত কেবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিএসি ও জিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের এক তরফা কি না? শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতি গৃহীত হয়েছে বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করেই। আগামী দিনে তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এখন শিক্ষাবিদদের যে ভাবনা তা বিবেচনা করা হবে।মন্ত্রী আরো বলেন, সাপ্তাহিক মাসিক ও ষাণ্মাসিক পরীক্ষা নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে জাতীয়ভাবে মন্ত্রণালয় দুটি পরীক্ষা নিচ্ছে। অনেক শিক্ষাবিদ বলছেন, এ পরীক্ষাগুলো শিক্ষবিদদের উপর চাপ তৈরি করছে। তাছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন পরীক্ষা নেই বলেও বলা হচ্ছে। আমরা এসব বিবেচনা করবো। কেবিনেট যদি মনে করে তবে পরীক্ষা বন্ধ করা হবে।প্রশ্নফাঁস সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয় নতুন নয়। ছোট্ট খবর এখন দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া যায়। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করছে প্রতারক চক্র। মন্ত্রণালয় বিষয়টি শক্তভাবে দমন করছে। এখন তাই আগের মতো প্রশ্ন ফাঁসের সংবাদ শোনা যায় না।জেইউ/এনএফ/আরআইপি
Advertisement