ন্যু ক্যাম্পে মাঠে নামার আগেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। বমি করলেন বার কয়েক। মালাগার বিপক্ষে এমন ম্যাচের আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে মাঠেও নামতে পারলেন না বার্সার আর্জেন্টাইন তারকা। নিষেধাজ্ঞার কারণে আগে থেকেই নেই লুইস সুয়ারেজ। সুতরাং, মালাগার বিপক্ষে একাদশ সাজাতে হলো মেসি এবং সুয়ারেজকে ছাড়াই। মাঠে ছিলেন এমএসএনের শুধু নেইমার; কিন্তু মালাগার বিপক্ষে ক্লাবকে জয় এনে দিতে পারেননি নেইমার অ্যান্ড কোং। ম্যাচটি হয়ে রইলো গোলশূন্য ড্র। এই ম্যাচে সুযোগ ছিল বার্সেলোনার শীর্ষে ওঠার। কিন্তু পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সেই সুযোগ হেলায় হারালো লুইস এনরিকের শিষ্যরা। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানেই রইল বার্সেলোনা। ১১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ শেষের দিকে মাঠে নামছে রিয়াল। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে। এই ম্যাচে রিয়াল হারলে, আগের ম্যাচে যদি বার্সা জিততো, তাহলে বার্সাই উঠে যেতে পারতো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অথচ কী সুবর্ণ সুযোগটাই না মিস করলো বার্সা। একে তো ঘরের মাঠ। তার উপর মালাগাকে পেয়েছিল ৯ জয়েনর দলে। লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে মালাগার দুই ফুটবলারকে। ৯ জনের দলে পরিণত হওয়ার পরও মালাগার জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হলো বার্সা। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সার পায়েই। অথচ, গোলটাই শুধু করতে পারলো না তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোল দিতে পারতেন নেইমার। কিন্তু তার ডান পায়ের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ২৬ মিনিটেও শট নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার সেই শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন মালাগার গোলরক্ষক। এভাবে পুরো ম্যাচেই একের পর এক গোলের চেষ্টা করে গেছেন নেইমার। কিন্তু গোল করতে পারেনি কেউ। ৬৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হতে বাধ্য দিয়েগো লরেন্তে। খেলার একেবারে শেষ মিনিটে এসে (৯০ + ৭) আবারও লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন মালাগার হুয়ানকার। আইএইচএস/এসআইএস
Advertisement