খেলাধুলা

চার ঘণ্টা শুনে চার মিনিট বললেন সালাউদ্দিন

মাস দেড়েক আগে বাংলাদেশের ফুটবলের উপর দিয়ে একটি সুনামি বইয়ে দিয়েছিল ভুটান নামের দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট দেশটি। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্লে-অফ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে পাহাড়ি দেশটি। তাদের ঐতিহাসিক ওই জয়টি নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলের ভিত। ঠিক ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’এর মতো। ১০ অক্টোবরের পর সেই যে ফুটবল নিয়ে সমালোচনা, মিটিং, মিছিল, বিক্ষোভ, টক-শো, সংবাদ সম্মেলন, আন্দোলন শুরু তা চলছে তো চলছেই। দেশের ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত অনেকে। কেউ আবার হাল ছাড়তে রাজী নন। আশাবাদী মানুষও আছেন। কারো মতে, ব্যর্থতার দায় নিয়ে এখনই সরে যাওয়া উচিত বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন ও তার পরিষদের। কারো কারো কাছে সমধান- সালাউদ্দিন চলে গেলেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে দেশের ফুটবল। কেউ কেউ আবার এককভাবে সালাউদ্দিনকে দায়ী করতে চান না। ব্যর্থতার জন্য গোটা কমিটিকেই দায়ী করছেন তারা।এমন এক সময়ে শনিবার ঢাকা ক্লাবে ‘বাংলাদেশের ফুটবল: বাস্তবতা ও করনীয়’ বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ)। যে সেমিনারে সবার শেষে বক্তব্য রেখেছেন ফুটবলের ব্যর্থতার জন্য যাকে বেশি সমালোচনা সইতে হচ্ছে সেই বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। মজার বিষয় হচ্ছে, দুপুর ১২ টায় শুরু হওয়া সেমিনার শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। দীর্ঘ চার ঘন্টা বিভিন্নভাবে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্তরা বক্তব্য রেখেছেন। সবার আগ্রহ ছিল সব শেষে কাজী মো. সালাউদ্দিন কি বলেন তা শোনার; কিন্তু প্রায় চার ঘণ্টা শুনে বাফুফে সভাপতি বললেন মাত্র মিনিট চারেক।১০ অক্টোবরের পর থেকে সাবেক ফুটবলার, সংগঠ, ফুটবলবোদ্ধা- সবাই ‘ভুটান লজ্জা’র জন্য কাজী সালাউদ্দিনকে ব্যর্থ বলছেন; কিন্তু তিনি কখনোই ব্যর্থতা স্বীকার করেননি। বরং গত প্রায় ৯ বছরের ব্যর্থতা তিনি আগামী সাড়ে ৩ বছরে কাটিয়ে তুলতে চান।  সেমিনারের শেষ বক্তা হিসেবে দাঁড়িয়ে নিজের অবিচল লক্ষ্যের কথাই বলেছেন তিনি। ‘সবাই যা বলেছেন, সব শুনেছি। আমি ভয় পাই না। আমি জানতাম, যেখানেই যাবো হেনস্থা হতে হবে। এখানে কেউ সঠিক তথ্য দিয়েছেন, কেউ দিয়েছেন ভুল। এখন আমাকে ১০ মিনিট সময় দিতে হবে। প্রজেক্টরে আপনাদের সামনে ফুটবলে আমাদের গত ৮ বছরের কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কিছু দেখাবো।’ বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি প্রজেক্টরে সালাউদ্দিনের দুই মেয়াদকালের কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন। কাজী মো. সালাউদ্দিন সেমিনার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছন, ‘যা শুনলাম তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement