আরো একটি পরাজয়। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এমন হারের ব্যাখ্যা কী? উত্তর জানা নেই খোদ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজারও। তবে শুক্রবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের ছোট সহজ ব্যাখ্যাই দিলেন অধিনায়ক। তার মতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে টেস্ট বানিয়ে ফেলেই হেরেছে তার দল। স্বল্প পুঁজি নিয়ে ইনফর্ম রংপুরের বিপক্ষে ব্যাটিং স্বর্গে লড়াই করা কঠিন বলেও উল্লেখ করেন অধিনায়ক।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আমার ম্যাচটাকে টেস্ট ক্রিকটে বানিয়ে দিয়েছে। টেস্ট ম্যাচের মতো ব্যাটিং করলে লো স্কোরিং হবে এটাই স্বাভাবিক। দিনের বেলায় দেখে মনে হচ্ছিলো রাতের বেলা এই উইকেটে দুই শ` করা সহজ হবে এখানে। আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে এটাও মনে করার কোন কারণ নেই। ওদের কোন চাপ ছিল না, শটস খেলতে হবে এমন কোনো তাড়া ছিল না। ওরা আরামে ম্যাচটি বের করে নিয়ে গেছে’।এদিন শুরু থেকেই ধীর গতিতে ব্যাটিং শুরু করে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২১ রান সংগ্রহ করে তারা। ১০ ওভার শেষেও তাদের ছিল ৪৩, তখন হাতে উইকেট ছিল ৮টি। তারপরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেনি তারা। বরং দুই বিদেশি আহমেদ শেহজাদ ও মারলন স্যামুয়েলস উভয়ে ৫২ রান করেন যথাক্রমে ৪৫ ও ৪৬ বল খেলে। এমনকি ১৭তম ওভারে ব্যাটিং করতে নেমে শান্ত করেন ৬ বলে ৫ রান। মূলত ম্যাচটি সেখানেই শেষ হয়ে যায় কুমিল্লার।‘টেস্ট ব্যাটিং বলছি এই কারণে। আমাদের হাতে যখন আট উইকেট ছিল তখন হাতখুলে মারা উচিত ছিল। ১০ ওভার শেষে আমাদের রান ৪৬ (আসলে ৪৩)। তখন অবশ্যই আমাদের আক্রমণাত্মক খেলা উচিত ছিল। কারণ আমাদের এই উইকেটে রাতে বল করা খুব কঠিন। ১৫০ রান না হলে সুযোগ একেবারেই নেই। শেষ দশ ওভারে আমরা ১০০ রান নিতে পারলেও আমাদের স্কোর হতো ১৫০। আমি এ জন্য বলছি প্রথমে যেহেতু হয়নি। মাঝে আমাদের আরও অ্যাফোর্ড দেয়া উচিত ছিল’।এদিন, ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও গাঁ ছাড়া ভাব ছিল কুমিল্লার খেলোয়াড়দের। বেশ কিছু ফিল্ডিং মিসের পাশাপাশি ক্যাচও ছেড়েছেন তারা। স্বল্পপুঁজি তাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরিয়েছে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আপনি যদি ১২০-১২২ করেন, ফিল্ডার হিসেবে খুব কঠিন। বোলার হিসেবেও খুব কঠিন। ক্যাচ ড্রপ আসলে, ওই সময় ক্যাচ ধরলেও যে আমরা ম্যাচে ফিরতে পারতাম এটা না। পরিষ্কার ভাবেই বোঝা যায় এই উইকেটে এই রান অনেক কম’।তবে কী বাজে ব্যাটিংয়ের পরেই ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফিরা। উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই না। ব্যাটিংয়ের পর ছেড়ে দিয়েছি সেটা না। আমাদের দ্রুত ৩-৪টি উইকেট দরকার ছিল এই ম্যাচ জিততে হলে। ১৩০ আমরা বরিশালে বিপক্ষে করেছিলাম। ওটা আরো স্লো উইকেট ছিল। ওদের এক পর্যায়ে দশ ওভারে ৪৫ ছিল। পরে উইকেট হাতে ছিল বলে ম্যাচ জিতে গিয়েছে। আমাদের দ্রুত উইকেট দরকার ছিল’।তবে ১০ ওভার শেষে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছিলেন তাতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে কেন এমন ব্যাটিং করছেন ব্যাটসম্যানরা। প্রশ্ন জেগেছে মাশরাফির মনেও। তাই টিম মিটিংয়ে তা জানতে চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি, ‘উইকেট যেমনই হোক ১০ ওভারে ৪৫ রানের পর হাতে আট উইকেট রেখে ব্যাটসম্যানদের মারতেই হবে। আমি জানি না; আসলে মাঠের ভেতর কি হয়েছিল। আমরা অবশ্যই আলোচনা করে জানবো কি হয়েছিলো’।আরটি/এসআইএস
Advertisement