প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা চার ম্যাচে হার। তবে ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। এ নিয়ে ছয় ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছে দলটি। আর এ দুটি জয়ই এসেছে আফগানিস্তান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবির অনবদ্য পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে। আর তাই বাংলাদেশে ধারাবাহিক পারফম্যান্স করতে পারায় দারুণ খুশি এ আফগান অলরাউন্ডার।শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নবি বলেন, ‘এখানে এভাবে পারফর্ম করতে পেরে আমি খুব খুশি। দলকে দুটি জয় এনে দেওয়া আর দুই ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশে পারফর্ম করতে পেরে আমি খুব খুশি।’এর আগে টানা চার ম্যাচে হেরে ব্যকাফুটে চলে গিয়েছিল চিটাগাং। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে তাই সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হয়েছে তাদের। মূলতঃ দারুণ সূচনা পাওয়ায় বড় সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে মনে করেন নবি। আর শেষদিকেও নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লেগেছে বলেও জানান তিনি।‘টানা চার ম্যাচ হারের পর ফেরা খুব কঠিন। কোচ এবং অধিনায়ক মাঠে নিজেদের শতভাগ দিতে আর নিজের খেলাটা খেলতে বলেছিল। কয়েকটা উইকেট হারালেও প্রথম ছয় ওভারে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পেরেছি। এটা ভালো স্কোর ছিল। আজকের উইকেট ভালো ছিল। সবাই ভালো খেলেছে।’চলতি আসরে ঢাকা পর্বে উইকেট নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। তবে চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক বলে জানান নবি, ‘এই উইকেটে শুরুতে কিছুটা সময় নিতে হয়। এরপর সেখান থেকে ১৬০-১৭০ রান করা সম্ভব।আমরা তাই লক্ষ্য করেছিলাম। যদি আমাদের হাতে উইকেট থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত চড়াও হতে পারব। ১৭তম ওভারের পর থেকে আমরা সুযোগগুলো নিতে থাকি এবং যত সম্ভব রান তুলতে থাকি। মাঠে এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’মূলতঃ পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন হয়েছে বলেই জয় পেয়েছে চিটাগাং, এমনটাই মনে করেন নবি। তবে এদিন শুধু ব্যাটে নয় বোলিংয়েও পরিকল্পনা কাজ করেছে বলে জানান তিনি, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল সঠিক লাইন ও লেংথে বল করা। প্রতি ওভারে ১১ রান করে করা খুব কঠিন। আঁট-সাট লাইনে বল করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের।’আরটি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement