জাতীয়

আইকন টাওয়ার নির্মাণে দুই মাসের মধ্যেই টেন্ডার

রাজধানী অদূরে পূর্বাচলে প্রস্তাবিত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ১৪২ তলা ‘আইকন টাওয়া’র দরপত্র আগামী দুই মাসের মধ্যে আহ্বান করা হবে। এর মধ্যে মাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে ওই স্থানে ১৪২ তলা টাওয়ার নির্মাণ করা যাবে কিনা।  বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প পরিদর্শন শেষে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।   মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলে ৪৮ কিলোমিটার লেক আছে। লেকের পাশে মানুষ হাঁটতে পারবে। এক পাশে সাইকেল চালানোর লেন থাকবে। এটি গ্রিন এবং স্মার্ট শহর হবে। আমরা ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে একই ডাস্টিংয়ের ভেতরে ক্যাবল, সাইবার অপটিক্স, স্যুয়ারেজ লাইন, ওয়ার্টার লাইন সব নিয়ে আসবো। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে।মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রকল্পের ৫০ একর এলাকাজুড়ে একটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এটির মাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি এতে একটি টাওয়ার নির্মাণ করা যায় তাহলে ভবনটি হবে ১৪২ তলার। তা না হলে দুটি করা হবে। একটি হবে ১০০ তলা। অন্যটি ৭১ তলার। এ টাওয়ারের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হবে। যারা প্রতিযোগিতায় টিকবে তাদের কাজ দেয়া হবে। উত্তরা প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ করে ডিসেম্বরে হস্তান্তর করা হবে।  মন্ত্রী আরো বলেন, উত্তরা অ্যাপার্টমেন্টটি দেশের পরিকল্পিত প্রথম শহর। এমন খোলামেলা জায়গায় সুন্দর একটা অ্যাপার্টমেন্ট আর কোথাও নেই। আমরা অত্যন্ত কম দামে এটা হস্তান্তর করছি।  মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন প্লটের পরিবর্তে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করে বেশি মানুষের আবাস্থল তৈরি করতে। অ্যাপার্টমেন্ট করার কারণে উত্তরায় ১৫ হাজার পরিবারের বাসস্থান হয়েছে। পূর্বাচলে ৬ হাজারের বেশি প্লট রয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার থাকতে পারবে। ঝিলমিল প্রকল্পেও ১৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট করা হচ্ছে। সেখানে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইনভেস্ট কাজ করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উত্তরায় এখন প্রতি স্কয়ার ৬ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে এখন মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছি। আমরা এটা আগের মূল্য সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এ টাকা আমাদের এক সঙ্গে দিতে হবে না। ২৫ বছর মেয়াদি সময়ে দিতে হবে।মন্ত্রী বলেন, আমাদের ১৬ কোটি মানুষ রয়েছে। কিন্তু জায়গা কম। সুতরাং আমাদের একমাত্র উপরের দিকে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা আর প্লটের ব্যবস্থা না রেখে অ্যাপার্টমেন্টের দিকে যাবো।মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে তিনটি প্রজেক্টের কাজ পুরোপুরি শেষ করে গ্রাহকের হাতে হস্তান্তর করা হবে। এমএসএস/এএইচ/পিআর

Advertisement