সব কিছুর পেছনেই একটি গল্প থাকে, যা এক সময় নাম নেয় ইতিহাসের। তেমনি ইতিহাসের পাতায় আছে জুতার কাহিনী। পাকে ক্ষতবিক্ষত হওয়া এবং নোংরা থেকে রক্ষা করতে মূলত জুতার ব্যবহার শুরু।মহাদেশগুলোর মধ্যে এশিয়া এবং আফ্রিকাতে স্যান্ডেলের ব্যবহার বেশি হলেও অন্যান্য মহাদেশে স্যান্ডেলের ব্যবহার খুবই কম। জুতার আদি নমুনা পাওয়া যায় ১৫০০০ বছর আগের স্পেনের গুহায় আঁকা কিছু চিত্রকর্ম থেকে। সেই চিত্রগুলোতে দেখা যায় মানুষের পায়ে পশুর চামড়া মোড়ানো। এছাড়া ৫০০০ বছর আগের বরফযুগের সময় খড়যুক্ত চামড়ায় মোড়া জুতার নমুনা পাওয়া যায়। এছাড়া এশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঠের জুতার ইতিহাস জানা যায়। সভ্য মানুষের মধ্যে প্রথম জুতা তৈরি করে মিসরবাসী। তারা চামড়া বা নল খাগড়ার নরম গদি ব্যবহার করতো এবং পায়ের পাতার সাথে তা চামড়ার দুটো সরু ফালি দিয়ে বেঁধে রাখত। আঙুলগুলোকে বাঁচানোর জন্য তারা কখনো কখনো চামড়ার ওই নরম গদিটির সামনের দিকটা বাঁকিয়ে উপরের দিকে তুলে দিতো। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০০ বছর আগেকার তৈরি এ ধরনের জুতার নমুনা মিসরে পাওয়া গেছে। কোনো কোনো শীতপ্রধান দেশের মানুষ অন্য ধরনের জুতা তৈরি করেছিল। এ জুতাগুলো ছিল প্রকৃতপক্ষে ঘাসের গদিযুক্ত থলি। পায়ের চারদিকে ওই থলি বাঁধা হতো। ষোড়শ শতাব্দীতে লোক চওড়া মাথাওয়ালা জুতা পছন্দ করতো। সপ্তম শতাব্দীতে উঁচু গোড়ালিওয়ালা জুতার প্রচলন ঘটে। কোনো কোনো রাজা কিছু জুতার ঢং বদলানোর আদেশ জারি করন সেই সময়। জুতা এক সময় মানুষের পা রক্ষা করার কবজ থাকলেও এখন তা ফ্যাশনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। তবে জুতা ব্যবহারের সময় মাথায় রাখুন এর মাপের বিষয়টি, যা পরে আরামে ঘুরতে পারেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে রঙ আর ডিজাইন যা আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলবে।এইচএন/এবিএস
Advertisement