আগামী ১৯ থেকে ২০ নভেম্বর কুয়ালালামপুরের বার্জায়া টাইম স্কয়ার হোটেলে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল সামিট’। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন ছয় মহাদেশের শতাধিক দেশে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ‘গ্লোবাল সামিট’ ঘিরে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা । এদিকে গ্লোবাল সামিটকে সফল করতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ প্রায় ৭০টি বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসের সহযোগিতায় প্যারিসে অবস্থিত আয়েবা সদর দফতর থেকে প্রশাসনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আয়েবার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম টেলিফোনে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ মাত্রা এবং ব্যঞ্জনা নিয়ে একটি বিশেষ ইমেজ তৈরি ও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কাজকর্ম আমরা নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করবো এবং একাত্ম হয়ে সহযোগিতা করবো। এ জাতীয় উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে। এখানে যদি দূতাবাসের কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা পুরোপুরি তা করবো।’ ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. এএইএম জিহাদুল করিম বলেছেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটের মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি যোগাযোগ রচিত হতে যাচ্ছে দেখে আমি আনন্দিত। আয়েবা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় এই প্রবাসী মহাসম্মেলন তথা বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটে মালয়েশিয়া সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদেরও বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা হলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান, মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট জায়েম, পর্যটন ও সাংস্কৃতিকমন্ত্রী নাজরি আবদুল আজিজ এবং নারী, পরিবার ও কমিউনিটি উন্নয়নমন্ত্রী রোহানি আবদুল করিম। ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একই দিন বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক নিয়ে বিষয়ভিত্তিক একাধিক সেমিনার এবং প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যাতে অংশ নেবেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশিরা। ২০ নভেম্বর সামিটের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে বিশেষ ওয়ার্কিং সেশন ছাড়াও মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহণে থাকবে জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘বাংলাদেশ নাইট’৷ সামিট ভেন্যুতে দু’দিনই আয়োজন করা হয়েছে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’বিষয়ক এক্সক্লুসিভ শো-কেস। যাতে বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) অংশ নেবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা। এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement