ভারতে প্রায় ২ কোটি অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছেন বলে রাজ্যসভাকে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন বিজু। বুধবার রাজ্যসভার এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ভারতে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার সমান। ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেই সময় ভারতে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ২০ লাখ; বর্তমানে তা ৬৭ শতাংশ বেড়ে ২ কোটিতে পৌঁছেছে। রাজ্যসভার এমপি ঝরনা দাস বাইদার এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন বিজু বলেন, কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা ভারতে প্রবেশ করছেন। অত্যন্ত গোপনে প্রবেশ করছেন তারা; দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া সম্ভব নয়। তবে সংগৃহীত তথ্য বলছে, ভারতে অবৈধভাবে ২ কোটি বাংলাদেশি অভিবাসী অবস্থান করছেন। এদিকে, ২০০৪ সালে রাজ্যসভায় দেশটির তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জইশওয়ালের দেয়া এক কোটি ২০ লাখ অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে বর্তমান তথ্য। শ্রী প্রকাশ ওই বছরের ১৫ জুলাই এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২০০১ সালর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতের ১৭টি রাজ্যে এক কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আসামেই ৫০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে; এ ছাড়া পশ্চিমবাংলায় রয়েছে সর্বোচ্চ ৫৭ লাখ। সেই সময়ের প্রধান বিরোধী ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ১২ লাখ বাংলাদেশিকে সনাক্তের পর দেশে ফেরতের দাবি জানায়। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের অবৈধ অভিবাসীদেরকে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী কিরেন বিজু। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরতের প্রক্রিয়া ধারাবাহিক। ১৯৪৬ সালের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিসহ অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের সনাক্তকরণ, আটক ও দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা রাজ্য সরকারকে দেয়া হয়েছে।এসআইএস/এবিএস
Advertisement