মোহাম্মদ রফিকের পর আবদুর রাজ্জাক। এরপর জাতীয় দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনারের বড়ই অভাব। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেই স্পিন ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজে সাকিবের সঙ্গীর খোঁজে বুড়ো বয়সে মোশাররফ রুবেলকে পর্যন্ত ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল নির্বাচকরা। সবেধন নীলমনি এখন যেন একজনই, তাইজুল। যদিও তিনি টেস্ট স্পেশালিস্ট। আরাফাত সানিকে এক সময় ভাবা হচ্ছিল রফিক-রাজ্জাকদের উত্তরসূরী। কিন্তু অ্যাকশন সমস্যায় এখন তিনি অনিয়মিত। অনেকটা দলের বাইরে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সঙ্গী কে তাহলে!ডান হাতি অফ স্পিনার তো নেই বললেই চলে। সোহাগ গাজী অনেক সম্ভাবনা নিয়ে দলে এসেছিলেন। অবৈধ অ্যাকশনের দায়ে তিনি অনেকটা হারিয়ে গেছেন। লেগ স্পিনার হিসেবে জুবায়ের হোসেন লিখনকে অনেক সম্ভাবনাময়ী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন কোচ হাথুরুসিংহে। কিন্তু তিনিও এখন কোচের না-পছন্দ। সর্বশেষ অনেক আলো নিয়ে উদয় হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ; কিন্তু এই একজনের ওপর নির্ভরশীল হলে তো বাংলাদেশ দল হিসেবে পরিপক্ক হয়ে উঠবে না।সুতরাং, পেস বোলিংয়ের মত স্পিন বোলিংয়েও ট্যালেন্ট হান্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। রবি পেসার হান্ট করে যেভাবে সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল, সেভাবে স্পিন বোলারও খুঁজে বের করতে মাঠে নামছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। স্পিন বোলিং হান্টিং কার্যক্রমেও স্পন্সর করছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবি।বিসিবির গেম এডুকেশন অ্যাডমিনেস্ট্রেটর রাশেদ ইকবাল জাগো নিউজকে জানান, স্পিন বোলিং হান্ট কার্যক্রম শুরু করা হবে এটা নিশ্চিত এবং এই কার্যক্রম শুরু করা হবে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। রবি স্পন্সর করছে এটাও নিশ্চিত। শুধু তারিখটা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।রাশেদ ইকবাল জাগো নিউজকে আরও জানিয়েছেন, রবি পেসার হান্ট যে প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে রবি স্পিনার হান্ট। বিসিবির কোচরা প্রতিটি বিভাগে যাবেন। সেখানে তারা বাছাই করে স্পিনারদেরকে নিয়ে আসবেন ঢাকায়। এখানে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর বাছাই করা হবে, কারা সেরা স্পিনার। এরপর তাদেরকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।স্পিনার হান্ট প্রোগ্রাম পরিচালনায় বিসিবির কোচ ওয়াহেদুল গণি, তিনি নিজেসহ আরও অনেকে থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ ইকবাল। আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement