‘স্যার আমি মাইরের ভয়ে আদালত থেকে ভাগছি। আমি ভুল করছি। আমারে আর রিমান্ড দিয়েন না। আমি সব সত্য কথা বলে দিমু।’মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলে রুবেল। রোববার এ আদালতে পুলিশ হেফাজত থেকে সে পালিয়ে গিয়েছিলো। রাজধানীর বাড্ডায় এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল বিচারককে বলে, ‘স্যার র্যাব আমাকে ২ নভেম্বর আটক করে, আর ১২ নভেম্বর এ মামলায় গ্রেফতার দেখায়। র্যাবের কাছে আটকের সময় তারা আমাকে মারধর করতো। তারা আমাকে বলে, রিমান্ডে নিয়ে তোকে গরম ডিম দিব। আঙুলে সুঁই ঢুকিয়ে দিব। তাই আমি মাইরের ভয়ে আদালত থেকে ভাগছি।’‘স্যার কালকে আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসছিলাম। ভিন্ন কারণে আত্মসমর্পণ করতে পারি নাই। আমি আর ভুল করমু না। আমি ভুল বুঝতে পারছি।’মঙ্গলবার রুবেলকে বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসানের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক বি এম মামুন।এ সময় বিচারক বলেন, আপনার কিছু বলার আছে কি? তখন রুবেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা জানান। বিচারক শুনানি শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে একবার গ্রেফতার হয় রুবেল। গ্রেফতার হওয়ার পর রোববার বিকেলে আদালত থেকে পালিয়ে যায় সে। এরপর সোমবার বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের কাছ থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।উল্লেখ্য, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও প্রতারণাসহ কমপক্ষে ২০টি অভিযোগ রয়েছে বাড্ডার ত্রাস বলে পরিচিত রুবেলের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। জেএ/ওআর/এবিএস
Advertisement