দল নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে মাশরাফির বিরোধ। আজ সকালেই ক্রিকেট পাড়া সরগরম করে তুলেছিল এই খবর। শেষ পর্যন্ত রাগ কমিয়ে মাশরাফি খেললেন; কিন্তু আজও জেতাতে পারলেন না দলকে। বিপিএলের চতুর্থ আসরে এসে টানা চতুর্থ ম্যাচেও হেরে গেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের করা ১৯৪ রানের বিশাল ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ৯ উইকেট হারিয়ে থেমে গেছে ১৬১ রানে। ফলে ৩৩ রানে হার মানতে বাধ্য হয় মাশরাফির দল।বিপিএলে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের স্কোর গড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেই রানের পাহাড় টপকাতে নেমে ইমরুল কায়েস আর জসিমুদ্দিন ভালোই সূচনা করেছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচের ব্যর্থ ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে আজ কুমিল্লা দলে নিয়েছে জসিমুদ্দিনকে। এছাড়া ডাচ অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডেসকাটকেও রাখা হয়েছিল আজকের একাদশে।এত পরিবর্তনেও শেষ পর্যন্ত কোন কাজ হলো না। হার মানতে হলো কুমিল্লাকে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান তুলে ফেলেছিলেন ইমরুল কায়েস আর জসিমুদ্দিন। ১১ বলে ১৯ রান করে ইমরুল কায়েস ফিরে যাওয়ার পরই শুরু হয় কুমিল্লার উইকেট পতন। ৩০ রানে বসিয়েই কুমিল্লার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেয় ঢাকা।আহমেদ শেহজাদ বোকার মত আউট হয়ে যান ১৫ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ১৬ রান। রায়ান টেন ডেসকাট ৭, সোহেল তানভির ২০ রান করে আউট হন। তবে শেষ দিকে এসে ঝড় তোলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩৫ বলে খেলেছিলেন ৪৭ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। ২ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছিলেন ৫টি। সাকিবকেই এক ওভারে চারবার ছক্কা মারেন মাশরাফি।সাইফুদ্দিন ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান। নাবিল সামাদ করেন ১ রান। ঢাকার হয়ে মোহাম্মদ শহীদ নেন ৩ উইকেট। সেকুগে প্রসন্ন নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাসির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, সানজামুল ইসলাম এবং রবি বোপারা। সাকিব ৩ ওভার বল করে দেন ৩৪ রান। কোন উইকেট পাননি তিনি।আইএইচএস/এসআইএস
Advertisement