খেলাধুলা

মুশফিকের আক্ষেপ : আজ হলে ঠিকই ছয় হতো

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুটি দুর্দান্ত চার মারেন মুশফিকুর রহীম। ফলে শেষ তিন বলে দরকার দুই রান। হার্দিক পান্ডের শর্ট বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মুশফিক। পরের ব্যাটসম্যানদের একই পরিণতি হলে হারের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচের ক্ষত আজও পোড়ায় মুশফিককে। তবে বিশ্বাস করেন এখন হলে সে বল মাঠের বাইরেই থাকবে অর্থাৎ ছয় হবে।সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘এখনও বলি সে (ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ) ম্যাচে বল যে জায়গায় ছিল আমি যদি খুব ভালো ফর্মে থাকতাম তাহলে ওইটাও ছয়ই হত। আজকে এখন যদি ওই জায়গায় বল পেতাম হয়তো ছয়ই হতো। তবে এটা ক্রিকেটের জীবনে এমন হতেই পারে।’এদিন চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষেও প্রায় একই পরিস্থিতিতে নেমেছিলেন মুশফিক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল সাত রানের। এবারের বিপিএলে এর আগে তিনটি ম্যাচে এমন সমীকরণে হেরে গেছে ব্যাটসম্যানরা। তাই আলাদা ভাবনাও ছিল মুশফিকের মনে। তবে গত তিন ম্যাচে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলার কারণেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিলেন মুশফিক।‘আজকে আমি অনেক শান্ত ছিলাম। আমি জানি কোন জায়গাটায় বল আসবে। আমাকে এক্সিকিউশনটা করতে হবে। সেই দিক থেকে বলবো আমি সফল ছিলাম। আর শেষ তিনটা ম্যাচ ভালো খেলার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো ছিল এটা সত্যি। আর অপর প্রান্তে একজন সেট ব্যাটসম্যান ছিল। এ রান হলেও ও (মালান) আছে ও শেষ করতে পারবে। সবমিলিয়ে একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’উল্লেখ্য, শক্তিশালী চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে সাত উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে বরিশাল বুলস। ফলে চার ম্যাচে তিন জয়ে রান রেটের পার্থক্যে খুলনা টাইটান্সকে টপকে শীর্ষে উঠেছে মুশফিকের দল।আরটি/এমআর/এসএম

Advertisement