নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা এবং সার্বিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উপর আস্থা প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হলো স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেয়া। সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)-এর পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়।আলোচনা সভায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে যখন যথাযথ যোগ্য ও অভিজ্ঞাত সম্পন্ন, পেশাদার ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন শুধু নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নয় বরং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি হিসাবেও কাজ করে।সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ড. স্বাধীন মালিক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ করতে হলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন জরুরি। কিন্তু সরকারের এ ধরনের কোনো চিন্তা ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না।তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে ওই আইনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, মামলাও হবে। আগামী ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে নির্বাচন প্রকল্প সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের ভোট ছাড়াই কিভাবে নির্বাচিত হওয়া যায়। সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ -এই বক্তব্যটি কেবল আমাদের নয়, অনেকেরই। আজ সার্চ কমিটিও প্রশ্নবিদ্ধ।৯১ সালের নির্বাচনের বিষয় তুলে ধরে বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছিল। তখনকার নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল। তবুও জাতীয় পার্টিকে অামরা ঐক্যমতে অানতে পারিনি। তারা ওই নির্বাচনে ৩৫টি অাসন পেয়েছিল। সুতারং জাতীয় ঐক্য করা খুব কঠিন।সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীনদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ক্ষমতাসীনরা কখনই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারে না। এছাড়া এখন সরকার তাদের সহায়ক আইন প্রণয়ন করছে।বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।এএস/আরএস/এসএম
Advertisement