প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এখন মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এটি কোন সাধারণ ঘটনা নয়। এই দুর্যোগ জাতির স্বাধীনতা, ভাষা ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হানছে।বিএনপি-জামায়াতের চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ একটি রোলমডেলে পরিণত হয়েছে।এ প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সংকট নিরসনে বিদেশী সহায়তার প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করে বলেন, এ সমস্যা সমাধানে আমরা যথেষ্ট সক্ষম। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। এখানে কোন অমানবিক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।অমর একুশে উপলক্ষে শনিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন। অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট রাজধানীতে নিজস্ব মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করে।তিনি বলেন, জাতীয় অর্জন ধরে রাখতে এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে ও জাতির মাথা উঁচু রাখতে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এদের প্রতিরোধ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদের জন্য একটি শিক্ষা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষার জন্য শাহাদাতকে আলিঙ্গন করে বাঙালি জাতি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ববাসী তাদের সাহস ও ত্যাগের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অর্জিত সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে চায় না। শুধু তাই নয়, তারা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনকে পছন্দও করে না।তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি অথবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জনগণের জন্য শুধু একটি উৎসবের বিষয় নয়, এই দিবস ভাষা অনুরাগী প্রতিটি মানুষের।বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চায় বাংলা ভাষাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার আওতায় বাংলা কীবোর্ড ও বাংলা ডোমেইন উদ্ভাবন করা হয়েছে। মোবাইলে বাংলা কী প্যাড সেট করা হয়েছে এবং বাংলা ডোমেইন তৈরি করা হয়েছে। এখন বহু মানুষ এ আবিস্কারের সুফল ভোগ করছে।আরএস
Advertisement