চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়াকে ধর্ষণ করতে গিয়ে উত্তম-মধ্যম খেয়ে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক তানিম হাসান তারেকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি নিয়ে ফেসবুকের পাশাপাশি এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন কলেজের আয়া। একই অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ও তানিম হাসান তারেককে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।এর আগে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেকের রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক বলেন, কলেজের এক আয়া তারেকের বিরুদ্ধে সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন।মামলার বিবরণী দিয়ে ওসি আরো বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে সেই আয়ার বাসায় ঢুকে ধর্ষণ করতে যায় তারেক। এ সময় তার চিৎকারে দুই ছেলে ও পুত্রবধূ এসে বিবস্ত্র অবস্থায় তারেককে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে জখম করেন। পরে পুলিশে খবর দিলে তারেকের শার্ট-প্যান্ট ও মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।শনিবার ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে তারেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভায় শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।তবে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন বলেছেন, সেক্রেটারি তারেককে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে ঘটনার পরপরই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সালাউদ্দিন কাজল/এএম/এবিএস
Advertisement