যারা ক্রিকেটের সামান্য খোঁজ খবর রাখেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন গ্রেগ থমাস ও ভিভ রিচার্ডসের মধ্যকার ঐতিহাসিক স্লেজিংয়ের ঘটনাটা। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যমারগন ও সমারসেটের ম্যাচে গ্ল্যমারগনের পেস বোলার গ্রেগ থমাস বল করছিলেন স্যার ভিভ রিচার্ডসকে।পর পর দুটি বলে ভিভ রিচার্ডসকে পরাস্ত করার পর থমাস এগিয়ে গিয়ে ক্যারিবীয় কিংবদন্তীকে বললেন, ‘তোমার বিস্মিত হওয়ার কিছু নাই! তোমার জানার জন্য বলছি- এটা লাল রঙের, গোল আকৃ্তির এবং ওজন প্রায় পাঁচ আউন্স!’পরের বলেই রিচার্ডস রাজকীয় ঢঙ্গে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন। থমাসের বল ভাসতে ভাসতে গিয়ে পড়লো মাঠের পাশের নদীটাতে! এবার রিচার্ডস এগিয়ে গিয়ে বললেন, ‘গ্রেগ, তুমি তো জানো বলটা দেখতে কেমন; যাও, ওটাকে এখন খুঁজে নিয়ে আসো!’রোববার অনেকটা এমন স্মৃতিরই পূনরাবৃত্তি ঘটালো যেন মিরপুরে। ক্যারিবীয় কেজরিক উইলিয়ামসের করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে স্কুপ করে চার মারেন বরিশাল বুলসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি উইলিয়ামস। এগিয়ে গিয়ে মুশফিককে দু’কথা শুনিয়ে দিয়ে আসেন।পরের বলেই মুশফিকের সেই বিখ্যাত স্লগ সুইপ। বল তখন আকাশে উড়ছিল। এবার বোলার উইলিয়ামসকে ইশারায় ডেকে তা দেখিয়ে মুশফিক বলেন, ‘ওই দেখ, বল আকাশে উড়ছে। আর এটা তোমাকেই খুঁজে আনতে হবে।’ শেষ পর্যন্ত বল ঠাঁই নেয় বরিশালের ড্রেসিং রুমে।এদিন শুধু ওই একটি ছক্কা মেরেই থামেননি মুশফিক। আরও চারটি ছক্কা মেরে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে বরিশালকে বড় সংগ্রহ এনে দেন তিনি। শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে ১১২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মুশফিক। তার ৮১ রানে ভর করে বরিশাল ১৯৩ রানের লক্ষ্য দেয় রাজশাহীকে।আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement