ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হলো ময়েশ্চারাইজিং। সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে ক্লিনজিং, টোনিং তো বটেই পাশাপাশি নজর দিতে হবে ময়েশ্চারাইজিংয়ের দিকেও। বাজার থেকে কেনা কৃত্রিম ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে যদি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আপনি ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন! শুধু প্রথমে জেনে নিন আপনার ত্বকের ধরন, তারপর ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজিংয়েই পান আকর্ষণীয় ত্বক। শুষ্ক ত্বকের জন্য :* ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে প্রতিদিন বিকেলে অলিভ অয়েল বা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল লাগান। * অলিভ অয়েল, লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। * ভিটামিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ নারকেল তেল ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে। নারকেল তেলের সঙ্গে কোকোয়া বাটার মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এই ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ওপর প্রতিরক্ষামূলক পরত তৈরি করে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। * মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। লেবুর রস, দই, ডিমের সাদা অংশ, মধু ভালো করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধুর সঙ্গে গুঁড়ো দুধ মিশিয়েও লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য :* টমেটোর রস ভালো ময়েশ্চারাইজার। এটা খোলা রোমকূপের সমস্যা প্রতিরোধ করে। * গোলাপজলের সাথে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। গোসলের পরে ত্বকে লাগান। * লেটুসপাতার রস, মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ক্লেনজিং, টোনিংয়ের পর নিয়মিত লাগান। * আপেল কুরিয়ে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। * পাকা পেঁকে চটকে রাতে শুতে যাওয়ার আগে ত্বকে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য : * ৫-৬ ফোঁটা আমন্ড অয়েল ও গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। * লবণ ছাড়া মাখন ও কমলার রস মিশিয়ে গোসলের আগে ত্বকে লাগান। ত্বক নরম হবে। * ভিনেগার, অলিভ অয়েল, মধু মিশিয়ে গোসলের পর মাসাজ করুন।* স্ট্রবেরি চটকে নিন। এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে হবে। * গ্রিন টি-এর লিকার, আমন্ড অয়েল ও সামান্য পানি মিশিয়ে গরম করে নিন। ঠান্ডা হলে এতে ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন।এইচএন/আরআইপি
Advertisement