ভাষা আন্দোলনের প্রায় ছয় দশক পর সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশেই এই জাদুঘর নির্মাণ করা হবে।শহীদ মিনারের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া না হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এই জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।আদালতের নির্দেশনা অনুসারে একই সঙ্গে একটি পাঠাগার নির্মাণেরও প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নার্গিস জানান, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাদুঘর ও লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন রকমের নক্শা তৈরি করে দিয়েছে স্থাপত্য অধিদফতর। এগুলোর মধ্য থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপূর্ত অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, শহীদ মিনারের পাশে জাদুঘর নির্মাণের জন্য কাজ করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। তারা আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে দিলে পরে পূর্ত মন্ত্রণালয় সে অনুসারে নির্মাণকাজ করবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাদুঘর ও পাঠাগার স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল মূল নকশায়। শহীদ মিনারের নিচে ভূগর্ভে ভাষা আন্দোলনের জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। আর পাঠাগারটিকে রূপ দেওয়ার কথা ছিল বাংলা সাহিত্যের একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে।২০১০ সালে শহীদ মিনার সম্পর্কে আট দফা নির্দেশনা জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এতে শহীদ মিনারের পাশে একটি লাইব্রেরিসহ ভাষা জাদুঘর নির্মাণের জন্য আদেশ দেওয়া হয়।একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার্থে বাংলা ও ইংরেজি ব্রোশিউর রাখার এবং গাইড নিযুক্ত করার কথা বলা হয়। পূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয় জাদুঘর নির্মাণকাজ ৩১ জানুয়ারি ২০১২ সালের মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। সূত্র : কালের কণ্ঠবিএ/আরআই
Advertisement