তিনি এখন বল হাতে এক আসরে দু’দুবার শেষ ওভারে বোলিং করে দল জেতানো পারফরমার। ইতিহাস তাকে সেভাবেই মনে রাখবে। তবে আজকের ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ে নিজের তেমন কৃতিত্ব দাবি করতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খেলা শেষে শেরেবাংলার কনফারেন্স হলে বসে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘জানি না। হয়ে গেছে। এর বাইরে সত্যিই কিছু জানি না। খুব নার্ভাস লাগছিল। টেনসনে আমার এখনো হাত ঘামছে!’বুঝিয়ে দিলেন, আগের ম্যাচে মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে দল জেতানো বোলিং করলেও এদিন সংশয়ে ছিলেন। পারবো কি পারবো না। হবে কি হবে না। সে কারণেই মুখে এমন কথা, চিটাগাংয়ের ৬ বলে ৬ রান লাগতো। দু’ দু’জন সেট ব্যাটসম্যান ক্রিজে। তার ওপর উইকেটও ভালো ছিল। এরকম অবস্থায় আসলে কিই বা করার থাকে বলুন? কারণ আমি চিন্তা করছিলাম, ম্যাচটা হেরে গেছি। জাস্ট এতোটুকুই। কোন ম্যান্টাল গেমই ছিল না। সত্যি কথা। আমি শুধুমাত্র ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি। এর বাইরে আর কোন কিছুই ছিল না।’ এর বাইরে আর একটা তাৎপর্যপূর্ণ কথা বের হয়েছে মাহমুদউল্লাহর মুখ থেকে। তার লক্ষ্য ছিল উইকেটের সামনে ও দু’দিকে ইচ্ছেমত শটস খেলে চার বাউন্ডারি আর দুই বিশাল ছক্কা হাঁকানো মোহাম্মদ নবিকে যতটা সম্ভব কম স্ট্রাইক দেয়া। ‘শুধু চেষ্টা করেছি নবিকে যতটা সম্ভব কম স্ট্রাইক দেওয়া যায়। চতুরঙ্গার উইকেটটা ওই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ খুলনা অধিনায়কের টেনসন কিছুটা হলেও লাঘব হয় তখন, যখন শেষ ওভারের প্রথম বলে নবি সিঙ্গেলস নিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডে চলে আসেন। নবি ও প্রান্তে দাড়িয়ে ছিলেন তিন বল। তাতেই সর্বনাশ। চতুরাঙ্গা উইকেটে এসে প্রথম বল ডট দেয়ায় রানের চাপ বাড়তে থাকে। তখনই ধড়ে প্রাণ ফিরে পান মাহমুদউল্লাহ। ভাবেন এখনই সময় কিছু করার। আসলে চতুরঙ্গা প্রথম বলে রান করতে না পারায় খানিক আত্ববিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করে তার। এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement