সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকতো বাড্ডার ত্রাস বলে পরিচিত রাফসান হোসেন ওরফে রুবেল (২৬)। প্রায়ই সে স্থানীয় তরুণীদের উত্ত্যক্ত করতো। সুযোগ পেলেই করতো ধর্ষণ। কিন্তু লোকলজ্জা, হুমকি ও মারধরের ভয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে সাহস পেতো না ভুক্তভোগীরা।আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় কারওয়ানবাজারের বিএসইসি ভবনে নিজস্ব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।এসময় রুবেলের কাছ থেকে একটি হুয়াওয়ে স্মার্ট ফোন ও নগদ নয় হাজার ৬৬৭ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।লে. কর্নেল তুহিন বলেন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ কমপক্ষে ২০টি অভিযোগ রয়েছে বাড্ডার রুবেলের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডায় এক গারো তরুণীকে ধর্ষণ করে রুবেলসহ স্থানীয় বখাটেরা। ওই ঘটনায় সালাউদ্দিন নামে এক সহযোগী গ্রেফতার হলেও মূল হোতা রুবেল ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। র্যাব-১ এর সিও বলেন, ঘটনার শিকার গারো তরুণী রাজধানীর একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। গত ২৫ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হবু স্বামী রিপনের সঙ্গে দেখা করতে উত্তর বাড্ডার তিন নম্বর লেনের হাসান উদ্দিন সড়কের হাজি রুহুল আমিনের মেসে যায়।এ সময় ভাড়াটিয়া নাজমুল, সালাহউদ্দিন সালু, জয়নাল, আল-আমিন ও রনির উপস্থিতিতে ম্যানেজার হানিফ রিপনকে বলে মেসে নারী আনা নিষেধ, তুমি কেন এখানে নারী নিয়ে এসেছ? ১ নভেম্বর মেস ছেড়ে অনত্র চলে যাবা।লে. কর্নেল তুহিন বলেন, এ সময় ওই মেসের বাসিন্দা সালাহউদ্দিন সালু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় সন্ত্রাসী আল-আমিন, রনি, সুমন, নাজমুল ও সুমনকে সেখানে ডেকে আনে। তারা রিপনকে মেসে নারী আনার অজুহাতে ঘটনা দফা-রফার ফাঁদে ফেলে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও একটি হুয়াওয়ে স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়।এরপর ধর্ষক রুবেল সহযোগী সালুকে নিয়ে ভিকটিমকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে পাশের হাজি মোশাররফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় আল-আমিন ও সালাহ উদ্দিন সালু বাইরে অবস্থান করে রুবেলকে সহযোগিতা করে।তিনি বলেন, রুবেলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলাসহ ২০টি অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকটি মামলায় সে পলাতক আসামি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।জেইউ/এমএমজেড/এমএস
Advertisement