আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করার অন্যতম মাধ্যম হলো নামাজ। এটা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ও দ্বিতীয় রুকনও বটে। আল্লাহ তাআলা প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য নামাজকে ফরজ করেছেন।নামাজের মধ্যে আবশ্যক পালনীয় কিছু কাজ রয়েছে। নামাজ সুন্দরভাবে আদায় করতে হলে এগুলো জানা আবশ্যক। নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে আবশ্যক করণীয় কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-তাকবিরে তাহরিমাআল্লাহর মহত্ত প্রকাশ পায় এমন শব্দ ‘(اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার’ দ্বারা নামাজ আরম্ভ করা ফরজ। আর এ তাকবির বলাকেই তাকবিরে তাহরিমা বলা হয়।তাকবিরে তাহরিমার দ্বারা নামাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার অন্যান্য কাজ নামাজির জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সুরা মুদদাসসির : আয়াত ৩)কিয়াম করানামাজের উদ্দেশ্যে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ফরজ। কোনো সমস্যা ছাড়া বসে ফরজ নামাজ আদায় করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৩৮)কিরাআত পড়াসুরা ফাতিহার পর সুরা মিলানো ফরজ। ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর সুরা মিলানোই ফরজ। আল্লাহ বলেন, তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ হয়, ততটুকু পড়। (সুরা মুযযাম্মিল : আয়াত ২০)রুকু করাপ্রত্যেক রাকাআতে একবার রুকু করা ফরজ। রুকু আদায় ব্যতীত নামাজ পড়লে তা আদায় হবে না। আর বসে নামাজ পড়ার সময়ও রুকুর সময় সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে; যেন কপাল হাঁটু বরাবর গিয়ে পৌঁছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৩)রুকু হলো- দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহা ও সুরা মিলানোর পর তাকবিরে বলে অর্থনমিত হওয়া। যেন দু`হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌছে যায়। মাথা এবং পিঠ এক সমান্তরালে চলে আসে। সিজদা করানামাজের প্রত্যেক রাকাআতে দু`টি সিজদা আদায় করা ফরজ। সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটিতে রাখা। উভয় হাত কাঁধ ও কানের মধ্যবর্তী সস্থানে থাকবে। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা রুকু কর এবং সিজদা কর। (সুরা হজ : আয়াত ৭৭)শেষ বৈঠকনামাজ শেষ বৈঠকে বসা। নামাজের শেষ রাকাআতে সিজদার পর তাশাহহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু পরিমাণ সময় বসা (অবস্থান করা) ফরজ। তাশাহহুদ পড়া দরূদ পড়া এবং দোয়া পড়া।সালামের মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করাতাশাহহুদ পড়ার পর ‘(اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللهَ) আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা ফরজ।পরিশেষে...উল্লেখিত কাজগুলো নামাজের মধ্যে আদায় করা ফরজ। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, নামাজের ভিতরের ফরজগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।যেহেতু নামাজ মুমিনের জন্য মিরাজ স্বরূপ। তাই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের ফরজ রুকনগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement