দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত গালফ ফুড এক্সিবিশনে ৯.৬ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ। রেকর্ড সংখ্যক এক্সিবিটর নিয়ে মিনা অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য এবং হসপিটালিটির ৫ দিনব্যাপী ২০তম বাণিজ্য মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি রোববার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে শুরু হয়। মেলার উদ্বোধন করেন মহামান্য ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন রাশিদ আল মাখতুম। এ মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নাম করা খাদ্য ও পানীয়, রন্ধন এবং পরিবেশন সামগ্রী, খাদ্য সংরক্ষক, খাদ্য প্যাকেজিং যন্ত্রপাতি, খাদ্য গ্রেড রং, মশলা, রন্ধন সম্পর্কীয় বিষয় খাদ্য, পানীয় এবং হসপিটালিটির সর্বশেষ উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শিত হয়। মেলায় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রুলার অব দুবাই এবং ইউএইর মিনিস্টার অব ফাইন্যান্স, মহামান্য হেলাল সায়িদ আল মারি, ডিরেক্টর জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম, কমার্স অ্যান্ড মার্কেটিং এবং সিইও দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, আয়োজক মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।মেলার আয়োজক দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সিইও বলেন, প্রায় তিন যুগ ধরে গালফ ফুড বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য উৎপাদক এবং পরিবেশকের মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করে একে উৎপাদক আর পরিবেশকের এক মিলনমেলায় পরিণত করেছে। এবারের মেলায় রেকর্ড সংখ্যক ১২০টি দেশের ৪৮০০ জন এক্সিবিটর অংশগ্রহণ করে এবং ১৭০টি দেশের ১৮০,০০০ দর্শনার্থী মেলা পরিদর্শন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ, দুবাই, মাসুদুর রহমান, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. একেএম, রফিক আহাম্মেদ, শাকিলা জেরিন আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি, ইপিবির পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেলার প্রথম দিনেই দর্শনার্থী ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ১০ ফেব্রুয়ারি হালাল ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হালাল খাদ্য এবং পানীয়ের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। হালাল ফুডের শীর্ষ প্রস্তুতকারী এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হালাল ফুডের বাণিজ্যিক এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে অলোচনা করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি নাবিল মোল্লা, জিসিসি মান সংস্থার কর্মকর্তা বিষয়সূচি থেকে হালাল মান ও সার্টিফিকেশনে আরব আমিরাতের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। গালফ ফুড চতুর্থবারের মতো কনফারেন্স আয়োজন করেছে, যেখানে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট শিল্প মালিকরা তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা শেয়ার করেন। ভবিষ্যতের রন্ধন তারকা তৈরির জন্য আমিরাত রন্ধন গিল্ড সেলুন ১,৩০০-এর বেশি তরুণ শেফ নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী এবং সেরা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ষষ্ঠবারের মতো গালফফুড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।মেলা শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি অংশগ্রহণকারী সব ব্যবসায়ী প্রতিনিধিকে নিয়ে কনস্যুলেটের হলরুমে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. একেএম রফিক আহাম্মেদের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান। সভাপতি তার বক্তৃতায় মেলায় অংশগ্রহণকারী বর্তমান ব্যবসায়ীদের সাফল্য দেখে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশের সুনাম বয়ে আনবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ইপিবির সহযোগিতায় এ মেলায় বাংলাদেশ থেকে ২০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : প্রাণ এক্সপোর্টস লি., প্রাণ ডেইরি লি., ময়মনসিংহ এগ্রো লি., এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোং লি, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., আকিজ এগ্রো প্রসেসিং ফ্যাক্টরি, ডেনিশ ফুডস লি., ডেনিশ কনডেন্সড মিল্ক বাংলাদেশ লি., হাশেম এগ্রো প্রসেসিং লি., হাশেম ফুডস লি., গ্লোব সফট ড্রিঙ্কস লি., এএসটি বেভারেজ লি., গ্লোব বিস্কুট অ্যান্ড ডেইরি মিল্ক লি., দেশবন্ধু সুগার মিলস লি., দেশবন্ধু গ্রুপ লি., এলিন ফুড প্রো. লি., হিফস এগ্রো ফুডস ইন্ডা., রোমানিয়া ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লি., এসিআই ফুডস লি., ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লি. ও এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো। বিএ/এমএস
Advertisement