শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল সাত রানের, হাতে ছিল তিন উইকেট। এমন ম্যাচে শেষ পর্যন্ত উল্টো তিন রানে হেরে যায় রাজশাহী কিংস। অথচ শেষ ওভারের বল হাতে নেয়ার আগে জিতবেন ভাবেননি মাহমুদউল্লাহ। তার মতে এ ম্যাচে জয় পাওয়া উচিৎ ছিল রাজশাহীর। পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে না পারায় হেরেছে তারা বলে মনে করেন খুলনা অধিনায়ক।বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওদের জন্য ম্যাচটা সহজ ছিল। ওরা যদি ওদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতো তাহলে ওরাই জিতত। আপনি যদি রাজুর আউটটা দেখেন, বলটা ওর নাগালে ছিল, কিন্তু সে ভালোভাবে টাইমিং করতে পারেনি। রাজুর উইকেটটা আমাকে একটা মোমেন্টাম দিয়েছে। তখনই আমি ভাবা শুরু করেছি যে, ফলাফলটা আমাদের দিকেও আসতে পারে।’এদিন ইনিংসের শেষ ওভার হাতে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র সাত রান প্রয়োজন ছিল বলে হারাবার কিছুই ছিলনা তার। ভেবেছিলেন রাজশাহীই হয়তো জিতে যাবে। তবে ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ভাগ্যের সহয়তাও চেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক।‘শেষ বলটা করার সময় চাপে ছিলাম। আমি শুধু ভাবছিলাম যে যদি ভালো হায়গায় বল ফেলতে পারি আর ভাগ্যের সহায়তা পাই, তাহলে হয়তো ম্যাচ জিততেও পারি। ছয় বলে সাত রান রাজশাহীর জন্য খুবই সহজ লক্ষ্য ছিল। এরকম একটা ম্যাচ জিততে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’এদিন আবুল হোসেন রাজুর আউটের পরই জিততে পারেন এমন আত্মবিশ্বাস পান মাহমুদউল্লাহরা। তবে অধিনায়কের দৃষ্টিতে তিনটি উইকেট তাদের ম্যাচে এনেছে, ‘তিনটা জায়গার কথা বলবো। জুনায়েদ খানের তিনটা উইকেট, শফিউলের নেয়া স্যামির উইকেটটা আর এরপর মমিনুলের উইকেট। আমার মনে হয়, এই তিনটাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’টুর্নামেন্টের আগে বলা হচ্ছিল ঢাকা, চিটাগং অনেক বড় দল। খুলনার নাম সেভাবে বলা হয়নি। তবে প্রথম ম্যাচেই এমন একটা লো-স্কোরিং ম্যাচে এভাবে দারুণ অনুপ্রাণিত খুলনা। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, ‘খুবই অনুপ্রেরনাদায়ক জয়। কারণ, কাগজে-কলমে হয়তো আমাদের দলে খুব বড় নাম নেই, কিন্তু আমাদের ভালো কিছু নাম আছে। যদি আমরা নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারি, তাহলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল করতে পারি।’আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement