বাংলাদেশ জাতীয় দলে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাত মুমিনুল হক। যদিও সীমিত ওভারের ম্যাচগুলো তিনি খারাপ খেলেন না। বরঞ্চ বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের চেয়ে গড় এবং স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে এ ব্যাটসম্যান। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলায় আরও একবার প্রমাণ রাখলেন তার। তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।এদিন ১৩৩ রানের মাঝারি মানের সংগ্রহ নিয়ে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে খুলনা টাইটান্স। তবে রাজশাহীর পক্ষে এক প্রান্তে দারুণ লড়াই করেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকেই এসেছে দুর্দান্ত ৬৪ রান। বলতে গেলে খুলনার বোলারদের বিপক্ষে একাই লড়াই করেছেন তিনি। রাজশাহীর ১৩০ রানের মধ্যে ৬৪ রানই এসেছে মুমিনুলের ব্যাট থেকে।কয়েকদিন আগেই মিডির সামনে খুব আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘প্রমাণ করার কিছু নেই। সবাই আমার ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।’ অথ্যাৎ, তাকে শুধুমাত্র টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে মনে করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির বাইরে রাখার কারণেই অভিমানে এমন কথা বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন বিপিএলে ব্যাট হাতেই প্রমাণ দিতে চান। সেটা যে একেবারে প্রথম ম্যাচেই দেবেন, তা কে জানতো!খুলনার করা ১৩৩ রানের জবাব দিতে নেমে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে রাজশাহীর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন মুমিনুল। এক প্রান্তে দারুণ লড়াই করে ৫৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। এদিন ৪৯ বলে পৌঁছেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি কোঠায়।তবে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান ভাবতে পারেন মুমিনুল। ৭ রানের মাথায় দু’বার জীবন পেয়েছেন তিনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভার ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরে যেতে পারতেন তিনি। স্লিপে তার ক্যাচ মিস করেন অলক কাপালি। এরপর ব্যক্তিগত ২৪ রানে আবার জীবন পান তিনি। সেবার লং অনে অপেক্ষাকৃত সহজ ক্যাচ মিস করেন আরিফুল হক।কদিন আগেই আক্ষেপ করে বলেছিলেন কোচ-নির্বাচকরা তার উপর বিশ্বাস না করলেও তিনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন তিনি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে জানেন। আর মাঠেই তা প্রমাণ করবেন। করে দেখালেনও।আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement