ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন মানজারুল ইসলাম রানা। কিন্তু ২০০৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয় বন্ধুকে হারান তিনি। এরপর সময়ের ব্যবধানে জাতীয় দলের অন্যতম সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ে মাশরাফির। বয়সের ব্যবধান থাকলেও তামিমই এখন সবচেয়ে কাছের বন্ধু! বিপিএলের গত আসরে দুইবারই মাশরাফির দলের কাছে হেরেছিল তামিমের ভাইকিংস। তবে এবার প্রথম ম্যাচেই মাশরাফির ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন তামিম।মাশরাফি এদিন কুমিল্লার বোলিংয়ের উদ্বোধন করতে আসেন। আর যথারীতি চিটাগাংয়ে ওপেন করতে আসেন তামিম। প্রথম বল সমীহ করে খেললেও দ্বিতীয় বলেই এগিয়ে এসে চার মারেন তামিম। এরপর ইনিংসের অষ্টম ওভারে আবার যখন বল করতে আসেন মাশরাফি, তার প্রথম বলেই একই ঢংয়ে কভার দিয়ে চার মারেন তামিম।মাশরাফির বলে তামিমের এমন আক্রমণাত্মক হওয়ার কারণ স্বাভাবিকভাবেই জানতে চাওয়া হয়। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এর উত্তরে তামিম বলেন, ‘মাশরাফি ভাইয়ের সাথে আমার একটা সেট প্লান আছে। তারও আছে আমার প্রতি। আমি একটা জিনিস মানি ওনাকে যদি আপনি একবার স্টার্ট দিয়ে দেন তাহলে সে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। যদি উনাকে স্টার্ট না দেন এবং আপনি যদি আপার হ্যান্ড চলে যান তাহলে একটু ব্যাকফুটে এসে যাবে। আমি মারতে গিয়ে ওটা হয়তো আউটও হয়ে যেতে পারতাম। আমি ওই ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম। ওনাকে সেট হতে দেওয়া যাবে না। যদি দেই তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে।’এদিন বলে ব্যাটের লড়াইয়ে যেমন জয় হয়েছে তামিমের। তেমনি মাঠের খেলাতেও জয় পেয়েছেন তামিম। কুমিল্লাকে ২৯ রানে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে চিটাগাং ভাইকিংস। গত আসরে দুইবার হারের প্রতিশোধ নিয়ে কতটা আনন্দ পেয়েছেন, জানতে চাওয়া হয় তামিমের কাছে। তামিম উত্তর, ‘কুমিল্লাকে হারানো আনন্দদায়ক না, মাশরাফি ভাইকে হারানো আনন্দদায়ক। আমার আর ওনার সম্পর্কে সবাই জানে। আজকের রাতটা অন্তত ভালো যাবে।’উল্লেখ্য, বিপিএলের গত আসরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল তামিমের চিটাগাং। অপরদিকে গ্রুপ পর্বে শীর্ষস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত শিরোপাও জিতে নিয়েছিল মাশরাফির কুমিল্লা। তাই চ্যাম্পিয়ন মাশরাফিকে হারানো বাড়তি আনন্দই দিয়েছে তামিমকে।আরটি/এবিএস
Advertisement