খেলাধুলা

তিন কারণে মাশরাফির প্রিয় দুর্জয়-সুজন-বাশার

শুরু করেছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়ের অধিনায়কত্বে। ১৫ বছর আগে আজকের দিনে তার যখন টেস্ট অভিষেক হয়, তখন বালাদেশ দলের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। এরপর পর্যায়ক্রমে খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন ও হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বেও খেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।পূর্বসূরি সবার প্রতিই তার সমান শ্রদ্ধা। তবে তিনজনকে মনে রেখেছেন তিন কারণে। তিনজনের পৃথক বৈশিষ্ট্যই তার মনে গেঁথে রয়েছে। নাইমুর রহমান দুর্জয় স্মরণীয় হয়ে আছেন প্রথম অধিনায়ক হিসেবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যাকে অনেকেই ‘চাচা’ বলে ডাকেন, সেই খালেদ মাহমুদ সুজন মাশরাফির মনে একটা অন্যরকম স্থায়ী আসন গেড়ে নিয়েছেন বড় ও ছোটদের দূরত্ব তৈরির কারণে। জাতীয় লিগে মাশরাফি নিজের বিভাগ খুলনার অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে আর সবার চেয়ে একটু ঘরোয়া পরিবেশে পেয়েছেন বেশি। বাশার তার কাছে সমাদৃত হয়ে আছেন একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে। তিনজন সম্পর্কে বলতে বলা হলে প্রথমে মাশরাফি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কথা। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম অধিনায়ক দুর্জয় ভাই (নাইমুর রহমান)। তার অধিনায়কত্বে আমার যখন অভিষেক হয়, আমি তখন ১৮ বছরের এক তরুণ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দুর্জয় ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে মনে দাগ কেটে আছে। তার প্রতি আমার অন্যরকম শ্রদ্ধা আছে।’ খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এরপর এসে যায় সুজন ভাইয়ের (খালেদ মাহমুদ) কথা। তিনি অধিনায়ক হয়ে এমন এক কাজ করে গেছেন তাকে ভুলি কি করে? আমি তখন বয়সে খুবই ছোট। দলে তখন আরও কিছু জুনিয়র সদস্য ছিল। সুজন ভাই অধিনায়ক হয়ে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে আমাদের ছোটদের একটা মেলবন্ধন করে দিয়েছিলেন। পুরো দলকে এক সুতোয় গাথতে বড় ও ছোটদের সম্প্রীতি, ঐক্য, সে সঙ্গে সবার এক হয়ে যাওয়া সংস্কৃতিটা প্রথম আনেন সুজন ভাই। এতে করে দলের মধ্যে বন্ধন, প্রীতি ও ঐক্য দৃঢ় হয়েছিল।’  হাবিবুল বাশার সুমন সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘সুমন ভাই মানুষ হিসেবে চমৎকার। মানবীয় গুণাবলি ছিল যথেষ্টই। গুড কাপ্টেন। নেতৃত্ব ক্ষমতাও ছিল দারুণ। সবার দেখভালের দায়িত্বটাও ভালো করতেন।’এআরবি/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement