বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ফাইনালে খেলে বরিশাল বুলস। ওইবার মাঝারি মানের দল নিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে তারা। ফাইনালে অলক কাপালীর অতিমানবীয় ইনিংসের কাছে না হারলে শিরোপাই পেত তারা। তখনই বুঝেছেন ‘নির্দিষ্ট দিনে পারফরম করতে পারলে তাদের কেউ হারাতে পারে না’। দল বদলে এবার তার দায়িত্ব বর্তেছে নবাগত খুলনা টাইটান্সের। বেশ কিছু নবীন ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত দলটি নিয়ে এবারও সময়মতই পারফরম করতে চান অধিনায়ক।বুধবার নিজেরদের প্রথম ম্যাচে আরেক নবাগত দল রাজশাহী কিংসের মোকাবেলা করবে খুলনা। মাঠে নামার আগে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে অনুশীলন শেষে খুলনা অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এরকম দলকে অধিনায়কত্ব করতে উপভোগ করি। ঢাকা, চিটাগাং, কুমিল্লা দলে বড় বড় নাম আছে। আরও বড় বড় খেলোয়াড় আছে। আমি গত বছরই এটা বুঝেছি, নির্দিষ্ট দিনে পারফরম করতে পারলে কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না। আমার এটাই লক্ষ্য থাকে। চেষ্টা করব এভাবেই যেন টুর্নামেন্টে এগুতে পারি।’গত আসরে ব্যাটে বলে দারুণ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পাশাপাশি দলকেও দেন দারুণ নেতৃত্ব। সেবার দলকে চ্যাম্পিয়ন না করতে পারলেও পেয়েছিলেন সেরা অধিনায়কের খেতাব। এবারও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান তিনি। তবে দলের চাহিদাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি।‘দল যেভাবে চায়, টিম কম্বিনেশন যেভাবে চায়, অধিনায়ক হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব থাকবে। দায়িত্ব অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। দলের যদি চাহিদা থাকে অতি আক্রমণাত্মক খেলতে তাহলে সেভাবেই খেলব। যদি দলের চাহিদা থাকে দেখেশুনে খেলা তাহলে সেভাবেই খেলতে চেষ্টা করব। আমার মনে হয় আমি সেভাবেই খেলব।’দলের চাহিদা অনুযায়ী খেললেও এবার শিরোপা জিতে গতবারের আক্ষেপ ঘুচাতে চান মাহমুদউল্লাহ। তবে এর আগে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাই মূল লক্ষ্য তাদের। ‘চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার প্রায় সবগুলো দলই। সাতটা দলই এ লক্ষ্যেই নামবে। তবে ভালো ক্রিকেট খেলাটাই মূল লক্ষ্য।’আরটি/এমআর/এমএস
Advertisement