বিশেষ প্রতিবেদন

বাউল ভুবনে নয়া অতিথি

‘যে আমারে ব্যথা দিয়েছে, তারে দোষী না আমি, কপালে আছে।’ শৈশবের আধো আধো কথাগুলো তখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। গভীর রাত। ভাঙা একটি গামলাকে যন্ত্র বানিয়ে তাতেই এমন ভারি বিচ্ছেদ গান সুর তুলে গাইছে। বাউল বাবা গান করে বাড়ি ফিরে মেয়ের গান শুনে হতভম্ব। এত রাতে ঘরে গান করে কে? বাবার ভয়ে চৌকির নিচে পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা শিশু শারমিনের। তবে বাবা হুমায়ুন সরকার স্ত্রীকে নিয়ে মেয়েকে খুঁজে তখন হয়রান। চৌকির নিচ থেকে বের করে মা মারধরও করে ওকে। অপরাধ, পড়শির ঘুম নষ্ট করে রাত জেগে গান গাওয়া।পাল্টে গেছে সেই শারমিনের দিনকাল। ব্যবধান আট-দশ বছরের। সেদিন যখন সন্ধ্যায় শারমিন হারমোনিয়াম নিয়ে গানের রেওয়াজ করছিল, তখন টিনের চালার ছোট্ট ঘরটিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সেই চিরচেনা উচ্চৈঃস্বরে বাউল গান ধরতেই এ ঘর, ও ঘর থেকে পড়শিরা এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কেউ ওর কাছে, কেউ মেঝেতে বসে, আবার কেউ বারান্দাতেও জায়গা পাচ্ছিল না। যেন মুহূর্তে জলসাঘরে রূপ নিল শারমিনের বস্তিসম ঘরটি। শ্রোতাদের সবাই নারী। অনেকেই বয়সী, মধ্যবয়সী। আছে শারমিনের সখীরাও।গানের ডালি খোলা মাত্রই অনুরোধের পালা। রাখছেনও সবার অনুরোধ। বাবা তবলায় ঝড় তুলেছেন। মেয়ের গানের দোহারিও তিনি। সুর-যন্ত্রের মাখামাখিতে যেন এক স্বর্গীয় ধারা বইতে থাকলো। ততক্ষণে ভক্তের সারি আরো দীর্ঘ হয়েছে। ভক্তরা আসছেন পাশের ফ্ল্যাট বাড়ি থেকেও। আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গানের চ্যাম্পিয়ন শারমিন এখন রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডার সবার মেয়ে। বাউল শারমিন, গানের শারমিন এখন সবার ভালোবাসার শারমিন।দুঃখ সাগরে সুখের তরীদুই বছর আগের কথা। ও তখন মধ্যবাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মানুষের বাড়িতে বুয়ার কাজ করা মা মৃত্যুশয্যায়। পাশেই এক ডাক্তারের দ্বারস্থ হন বাবা হুমায়ুন। ভুল চিকিৎসায় অবস্থা আরো অবনতি হলে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মা রহিমাকে।চিকিৎসার টাকার জন্য দিশেহারা বাবা হুমায়ুন। উপায় না পেয়ে মেয়ে শারমিনকে নিয়ে অন্যের দ্বারে হাত বাড়ান তিনি। সম্বল বাবা-মেয়ের বাউল গান। শারমিনের গানে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই সাহায্য করতে থাকেন। সাহায্য করেন স্কুলের শিক্ষক-অভিভাবক ও প্রতিবেশীরাও। আড়াই মাস চিকিৎসা খরচের প্রায় ৭৫ হাজার টাকার পুরোটাই অন্যের কাছ থেকে পাওয়া।এদিকে আর দশজন বাউল পরিবারের যে পরিচয়, বাউল হুমায়ুনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। মেয়ে শারমিনের জন্মের আগ থেকেই ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা’। গানপ্রেমী হুমায়ুন বাউল জীবনে আসক্ত পরিবারের দীক্ষা পেয়েই। হুমায়ুনের বাবা আবু বকর সিদ্দিকও ছিলেন বাউলশিল্পী। বাবার কাছ থেকেই গানে তালিম নেন হুমায়ুন। জীবনের তাগিদে অন্য পেশায় মন দিয়েছেন বহুবার। প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যানও চালিয়েছেন কিছুদিন। কিন্তু সুরের বাঁধনে যার মন গড়া, তার তো অন্য কিছুতে মন বসার কথা নয়। বসাতেও পারেননি। দিনে গাড়ি চালিয়েছেন, রাতে গান করেছেন। তাতেও জীবন চলেনি। গানে মন মজানোয়, গাড়ি চালাতে বিপত্তি ঘটেছে বহুবার। এর মধ্যে মানসিক সমস্যাও দেখা দেয় হুমায়ুনের।জীবনের তাগিদে ঢাকায় এলেও মাঝে একবার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ ফিরে যান তিনি। ভূমিহীন, ঘর-বাড়িহীন হুমায়ুন ছেলে রায়হান ও মেয়ে শারমিনকে নিয়ে আবারো ঢাকায় ফিরে আসেন। রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় টিনশেডের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে মেয়ে শারমিনও বড় হতে থাকে। বাবার গাওয়া গানেই সুর তুলে দোহারি হতে থাকে শারমিন।বাংলাদেশ জাতীয় বাউল সমিতির সদস্য হুমায়ুন সরকার পালাগানে পারদর্শী হলেও শারীরিক সমস্যার কারণে গানেও মন দিতে পারছিলেন না ঠিকমতো। ঢাকার জীবন। যেখানে প্রতি ফোঁটা পানিও কিনে খেতে হয়। এক সময় দিনে একবেলা খাবারও জুটত না হুমায়ুনের পরিবারে। অনাহার-অর্ধাহারে থাকা ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হুমায়ুনের কষ্টের যেন সীমা থাকত না। অন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও শরীর তাতে সায় দেয়নি। ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালাতে গিয়ে কুমিল্লায় একবার মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন হুমায়ুন। এরপর থেকে গাড়ি চালানো বন্ধ। মন ফেরান আবারো গানের ভুবনে। এবার মেয়েকেও গানের দলের সারথি বানিয়ে নেন তিনি। গানের ভুবনে বাবা-মেয়ে যুগলবন্দি। কিন্তু তাতে তো আর সংসার চলে না।উপায়ান্তর না পেয়ে শারমিনের মা রহিমা বেগম অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতে থাকেন। অনেকটা মায়ের আয়ের ওপরই চলতে থাকে শারমিনদের পরিবার। দীর্ঘ ৯ বছর অন্যের বাড়িতে কাজ করে মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হন রহিমা বেগম। জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে ভর্তি হন হাসপাতালে। সেই দুঃখ সাগরে আবারো তরী ভাসিয়ে ফেরেন বাউল গানে। স্বামী আর মেয়ের পাওয়া সাহায্য থেকেই নতুন জীবন ফিরে পান রহিমা বেগম। আর গানের ফেরিওয়ালা শারমিন এমনি করেই হয়ে ওঠেন সুরালা গানের পাখি। গানই হয়ে ওঠে তার সাধন-ভোজন। যে সাধনায় এখন সুখ ফিরেছে সংসারেও। বাংলার গানে প্রথম হয়ে ১০ লাখ টাকা পেয়ে ভাগ্য বদলেছে শারমিনের।বাবা-মেয়ে যখন গুরু-শিষ্যশারমিন তখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা ময়মনসিংহে এক পালাগানে ভাববাদী গান গাইছেন। আসরের শেষ বেলা। ভারি মুর্শিদি গানে আসরের ভক্তরা তখন জিকিরে মশগুল। কেউ যেন কারো খবর রাখছে না। ভাব তরঙ্গে উন্মাদ হয়ে সবাই পরমাত্মার কৃপা পেতে দেওয়ানা। বাবার গানের তালে নাচছে মেয়ে শারমিনও। গান শেষে মেয়ের নাচের ভিডিও দেখে বাবার ঘোর কেটেছে।সেই শুরু, মেয়েকে নিয়ে আর অবহেলা করেননি তিনি। মেয়েকে পুরোদস্তুর গানের দলে আগলে রেখেছেন। নিজের গাওয়া গানগুলোই ধীরে ধীরে শারমিনের কণ্ঠেও তুলে দিয়েছেন। যা শিখিয়েছেন, শারমিন তা অবনত মস্তকে গ্রহণ করেছে সাধন ভঙ্গিতেই। সময় গড়াতেই গানের মঞ্চে জনপ্রিয় হতে থাকে শারমিন। অন্য শিল্পীদের চেয়ে দর্শক চাহিদায় শারমিনকেই অধিকসংখ্যক গান গাইতে হয় মঞ্চে। পরিচিতি বাড়তে থাকে বাউল জগতেও।ডায়েরিতে বাবা গান লিখে দেন। হারমোনিয়ামেও সুর বেঁধে দেন বাবাই। বাবা-মেয়ে যেন গুরু-শিষ্য পরম্পরা। মেয়ের গানে মত্ত হয়ে বাবা তার স্বপ্ন-সাধনায় নতুন রূপ দিতে থাকেন। গান শেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াতে থাকেন শারমিনকে। চ্যানেল আইয়ে ক্ষুদে গানরাজ, মাছরাঙা টেলিভিশনে ম্যাজিক বাউলিয়ানাসহ বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতেও অংশ নিতে থাকে শারমিন। ফলাফল ভালো করলেও বয়স, সুরের ভারত্বের বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত ছিটকে পড়তে হয়। বাবার নির্দেশনা ছিল এবার আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গানের অডিশনে টিকতে না পারলে গান বন্ধ। বাবার এমন হুমকি যেন ছিল মেয়ের মনে জেদ চাপানো। মেয়েও আদাজল খেয়ে নামে। শুরু থেকেই মাত করতে থাকে শারমিন। গ্র্যান্ড অডিশনে খালি গলায় গান শুনে বিচারক রাহুল আনন্দ জলের গানের ব্যাজ পরিয়ে নিয়ে আসেন সরাসরি মূল প্রতিযোগিতায়। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। মনকাড়া সুরে দর্শক-বিচারকের মন জয় করতে থাকে দ্রুতগতিতে। গোটা প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণই ছিল পঞ্চদশী বাউল শিল্পী শারমিন। সুর সাধনা আর বিশেষ মুন্সিয়ানায় প্রায় ৬০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মুকুট পরে বাংলার গানের। শারমিনের সুরের জাদুতে মাতোয়ারা আলাতুন্নেছা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। সকল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে একের পর এক পুরস্কার জিতে সুনাম বাড়াতে থাকে সেই ছোটবেলা থেকেই। শান্ত, স্বল্পভাষী শারমিন সুর দিয়েই স্কুলের সবার মন জয় করে নেয়। স্কুল পরিবারও শারমিন বন্দনায় মাতোয়ারা। বাংলার গানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে দেয়া হয় বিশেষ সংবর্ধনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হয় সকলের মধ্যমণি শারমিন।বাবা হুমায়ুন সরকারের বয়স এখনো ৪০ হয়নি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘গান তো সাধনের বিষয়। আত্মার খোরাক মেটাতেই গান করি। আমি আমার বাবার কাছ থেকেই গান শিখেছি। তাই মেয়েকেও গান শেখানো আমার দায়।’‘আমি জানতাম, ওর মধ্যে যা আছে, তা অনেকের মধ্যেই নেই। চাইলেই অনেকে বাউল গান গাইতে পারে না। কিন্তু ওর জন্মই হয়েছে বাউল গানের জন্য। আমার বিশ্বাস ছিল ও ভালো করবে। বিশ্বাস রেখেছেও।’  ঘর নয় যেন সাধনকুঞ্জদোতলায় ওঠার বাইরে সিঁড়ি। লোহার এঙ্গেলে বানানো সিঁড়ি। ভয় নিয়েই সিঁড়ি মাড়িয়ে শারমিনের ঘরে প্রবেশ। উপরে টিনের চালা। ভাড়াও কম। পরিবার নিয়ে এখানে আছেন দীর্ঘদিন থেকে। ঘরে টুকটাক জিনিসপত্র থাকলেও দৃষ্টি কাড়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.)-এর নামে আসন (সাধনার বিশেষ ছোট্ট ঘর)। লাল কাপড়ে আসন বানানো। সেখানে আজমির শরিফের ছবি সাঁটানো। ভিতরে মোমবাতি জ্বলছে। আগর বাতির গন্ধও পাওয়া গেল ঘরে প্রবেশ করেই। বলা যায়, ঘরের মধ্যেই খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.)-এর মাজার আজমির শরিফের প্রতিচ্ছবি। এ ঘরেই সঙ্গীত সাধনা হয় বাবা-মেয়ের। হারমোনিয়াম, তবলা, মন্দিরা, বাঁশি সবই রয়েছে শারমিনের ঘরে। মেয়ে গাইলে বাবায় বাজান, আবার বাবা গাইলে মেয়ে বাজায়। গানের দোহারিও হয় একে অপরের। এ কুঞ্জেই রোজ গান সাধনা হয় তাদের।আগে আশপাশে থাকা ব্যক্তিরা বিরক্ত হতো। এখন আর হয় না। সবাই এখন গান শুনতে আসেন -বলছিলেন শারমিন। তিনি আরো বলে, ‘অন্যকে বিরক্ত করে তো গান গাওয়া যায় না। দরজা লাগিয়ে খুব আস্তে আস্তে গান করতাম। অনেক কষ্ট হতো। এখন সবাই ভালোবাসে। উচ্চস্বরে গান করলেও আর কেউ বিরক্ত হন না।’    মন মাজারে বাউলিয়ানা‘বড় বিশ্বাস কইরা জায়গা দিলা মরে বুকের উপরে, আমি আপন কইয়া সব দিয়াছি তারে।’ বাউল সম্রাট রশিদ সরকারের লেখা বিখ্যাত বিচ্ছেদ গান। অডিশনে চূড়ান্ত পর্বে যখন গানটি শারমিন গাইছিল, তখন সকল বিচারক দাঁড়িয়ে সম্মান জানাচ্ছিলেন। ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বিচারকের আসন থেকে ওঠে এসে শারমিনকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘এ গান যখন বৈঠকি আসরে গাইতাম, তখন ভক্তকূলে কান্নার রোল পড়ে যেত। এমন সুরের গান সবাই গাইতে পারে না। ও এই গান গাইতে পারবে আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি মুগ্ধ। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলছি।’ একইভাবে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ানের লেখা গান ‘আমি মন হারাইয়া বৃন্দাবনে, মন খুঁজিয়া ফিরি, ওরে আমার শ্যামল বংশধারী’ গানটি শুনেও বিচারকরা মুগ্ধ বনে যান। ‘আমায় এত দুঃখ দিলি বন্ধুরে, তবু তোর পিরিতে দেওয়ানারে দেওয়ানা’ শারমিনের এই গানে বাঁশিতে ছিলেন বিখ্যাত বংশীবাদক জালাল। গান গাওয়ার কোনো এক সময় শারমিনের সুরের সঙ্গে তাল মেলাতে এসে বাঁশি থেকে মুখ সরিয়ে নিতে বাধ্য হন জালাল।যন্ত্রের স্কেল পার হয়, শারমিনের সুর রয়ে যায়। তার সুর যেন থামতেই চায় না। শারমিনের সুরের বিশেষত্ব মূলত এখানেই। শারমিন গায় একবারেই নিজস্ব ঢংয়ে। তার সুরে শরীরও কথা বলে, যা বাউল গানের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। বাউল ছাড়া অন্য গান গাইতে মন চায় না তার। গাইলেও নাকি মন ভরে না-বলছিলেন শারমিন। বলেন, ‘গানের তত্ত্বকথা এখনও ভালো বুঝি না। কিন্তু বাউল গান যে প্রাণকে জাগায়, তা বুঝতে পারি। আমি যখন বাউল গান গাই, তখন দুনিয়ার অনেক কিছুই ভুলে যাই। সুর দিয়ে ভক্তের মাঝে তখন হারিয়ে যাই। মুর্শিদকে খুব কাছে পাই।’যেতে চায় বহুদূরগান দিয়েই জীবন জয়। বাবার পালাগানের সঙ্গী হয়ে দৌড়াচ্ছেন শৈশব থেকেই। বয়স বাড়ছে, বাড়ছে দৌড়ের গতি। পেটের দায়ে গানে তালিম নেয়া হলেও এখন তার গান সাধনাকে ব্রত জানে। গান দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায়, ভালোবাসা পাওয়া যায়, এটা তার মনেপ্রাণে বিশ্বাস। বিশ্বাস গান দিয়ে বিশ্ব জয় করার। গুণী এই শিল্পী বলেন, ‘এখন গানের কদর বুঝতে পারছি। উন্নত যন্ত্রে আর পরিশীলিত কণ্ঠে গান করতে পারলে বাংলার গানকে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত করা সম্ভব। আমি এই চেষ্টার অংশ হয়ে থাকতে চাই।’ মেয়েকে নিয়ে বাবাও যেতে চান বহুদূর। বলেন, ‘আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গানের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওর সুরের জানালা খুলেছে। আমি চাই, সেই জানালা দিয়ে ও অসীম আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখুক।’এএসএস/আরএস/এমএফ/পিআর

Advertisement