বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএলের) চতুর্থ আসর শুরু হয়েছে আর তিনদিন আগে, ৪ নভেম্বর। প্রথম দুদিন বিপিএলের ম্যাচ আয়োজনের সব প্রস্তুতিও ছিল; কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর মাঠে গড়ানো গেলো না বিপিএলের একটি বলও। প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা আর রাজশাহীর টস হলেও খেলা গড়ানোর আগেই বৃষ্টি। টানা দু’দিন বৃষ্টি এবং তিনটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণার পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিলো, বৃষ্টি যেহেতু, তাহলে টুর্নামেন্টটির শুরুর তারিখ পিছিয়েই দেয়া হোক।গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাতটি ফ্রাঞ্চাইজির প্রতিনিধি, সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান চ্যানেল নাইনের প্রতিনিধি, বিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, ৮ নভেম্বর থেকে আবার শুরু হবে বিপিএল। অর্থ্যাৎ ৮ নভেম্বর (আগামীকাল) বিপিএলের দ্বিতীয় উদ্বোধন।ফ্রাঞ্চাইজিগুলোও রাজি হয়েছে, যে ছয়টি ম্যাচ স্থগিত হয়েছে, কিংবা যে তিনটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছিল, সেগুলো আবার আয়োজনের। সে হিসেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল নতুন করে সূচি সাজিয়েছে। তাতে অবশ্য বিপিএল শেষ করার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়নি। শুধু, পুরনো সূচিতে যে গ্যাপগুলো ছিল, সেখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে স্থগিত হওয়া ছয়টি ম্যাচ। নতুন তৈরী করা সূচিতে উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রতিপক্ষ তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস। একইদিন সন্ধ্যায় মাঠে নামবে বিপিএলের দুই নতুন ফ্রাঞ্চাইজি খুলনা টাইটান্স এবং রাজশাহী কিংস। পুরনো সূচিতে, ৮ নভেম্বর কুমিল্লার ম্যাচ ছিল সন্ধ্যায়; কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাচ্ছিল, যেহেতু এটা নতুন শুরু, দ্বিতীয় উদ্বোধন; সেহেতু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দিয়েই টুর্নামেন্টটি শুরু করতে। এ কারণে পরিবর্তিত সূচিতে তাদেরকে এগিয়ে আনা হয়েছে বিকালের ম্যাচে। নতুন সূচিতে ৪ নভেম্বরের কুমিল্লা-রাজশাহী ম্যাচটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায়। ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় হবে রংপুর রাইডার্স-খুলনা টাইটান্সের মধ্যকার প্রথম দিনের (৪ নভেম্বরের) ম্যাচটি। ৫ নভেম্বরের বরিশাল বুলস-চিটাগং ভাইকিংস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস-ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর। আর ৬ নভেম্বরের রংপুর-রাজশাহী ম্যাচটি নেয়া হয়েছে ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায়। বরিশাল আর খুলনার অন্য ম্যাচটি তো ঢাকা থেকে চট্টগ্রামেই চলে গেছে! সেটি হবে ২০ নভেম্বর।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement