উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা পূর্ব থেকে পশ্চিম, পুরো পৃথিবী জুড়েই ফ্যাশনের রাজত্ব। ফ্যাশন মানেই নতুন কিছু। নতুন ভাবনা নতুন চিন্তা আর নতুন উপস্থাপনা। প্রকৃত ফ্যাশন হচ্ছে নিজেকে উপস্থাপন করতে জানা। নিজের দেশ, দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই ফ্যাশন। আর এই ফ্যাশন দেশে থেকে দেশে ভিন্ন। তার মাঝে আছে আদিবাসী। যাদের ঐতিহ্যর মাঝে লুকিয়ে আছে নানা সভ্যতার ইতিহাস। তেমনই একটি দেশ আফ্রিকা। বিশ্বের জনসংখ্যার ১৪% মানুষ অবস্থান করে এই মহাদেশে। আফ্রিকা একটি বিচিত্র মহাদেশ। এখানে বহু বিচিত্র লোকের বাস। যাদের আছে অসংখ্য ভাষা। এখানে আছে আরো চমক। আর তা হচ্ছে এখানকার আদিবাসী। এদের আচার আচরণে, খাদ্যাভ্যাসে, চলাচলে, মানসিকতায় পোশাকে এক গোষ্ঠির থেকে অন্যটির মাঝে বিস্তর পার্থক্য। আফ্রিকা মহাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে আছে জুলু, হটেনটট, পিগমি। নিগ্রো, বুশম্যান। আমাদের যেমন পোশাক নিয়ে আছে নানা ফ্যাশন তাদের মাঝেও আছে ঠিক এমনইভাবে নানা ফ্যাশন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পুরুষ, মহিলা ভেদে তাদের এই ফ্যাশনে থাকে বিস্তর পার্থক্য। বুশম্যান হচ্ছে আফ্রিকার দক্ষিণাংশের শিকার প্রিয় জনগোষ্ঠি। তাদের মূল আশ্রয় স্থল কালাহারি। তারা মূলত তাদের আঁকা এবং শিকারের জন্যই সুপরিচিত। তাদের অন্যতম হাতিয়ার তীর ধনুক। সাজের ক্ষেত্রে তাদের মূল আকর্ষণ ডিম। এরা ডিমের খোসা দিয়ে গহনা বানিয়ে পরে থাকে। এবং নানা উৎসবে এটি তাদের গলায় গহনা হিসেবে থাকে। বুশম্যানদের মধ্য নারীদের সম্মান সবার উপরে। মূলত তারা মায়ের নেতৃত নিয়েই চলে। আফ্রিকার অন্যতম আদিবাসী হচ্ছে জুলু। তাদের পোশাক যথেষ্ট মার্জিত। তাড়া পোশাক পরে থাকে তাদের বৈবাহিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে। অবিবাহিত মেয়েরা গুঁটিকা তুলোর স্ট্রিং দিয়ে তৈরি জামা পরে থাকে। তা হয়ে থাকে ছোট স্কার্ট কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘাসের তৈরি পোশাক। তাদের চুল হয়ে থাকে ছোট। সাধারণত তাড়া একক লম্বা জামা পরে থাকে। যাদের বিয়ে হতে যাচ্ছে তাদের বুঝা যায় চুল দেখে। ভবিষ্যতকে সম্মান করে তারা বুক পর্যন্ত চুল রেখে থাকে। পিগমি হচ্ছে আফ্রিকার আরো একটি আদিবাসীদের নাম। পিগমি শব্দটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ বামনাকৃতি। এই গোষ্ঠির মানুষের উচ্চতা ১২-১৪ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও তারা এরপরে আর বৃদ্ধি পায় না। পোশাকের ক্ষেত্রে তাড়া নিজেদের ঠান্ডা রাখতে পারবে এমন পোশাক পছন্দ করে। বিভিন উৎসবে তাড়া দলবেঁধে নাচে। এইচএন/এবিএস
Advertisement