জাতীয়

বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন আর স্বপ্ন বা গল্প নয়, বাস্তবতা। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেকটা স্বাভাবিক। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অরাজকতা, ভিক্ষাবৃত্তি, দারিদ্র্যতা সর্বোপরি দুর্নীতি কমেছে অনেকাংশে। বেশকিছু জরিপে উল্লেখ রয়েছে, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সক্ষমতা আরো বাড়বে। ফলে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন পজেটিভ বাংলাদেশ।ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মনে করি, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি দ্বারাই ডিজিটাল দেশ গঠন করা সম্ভব। ইন্টারনেট সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা যায়। তবে এ দেশ নিকট ভবিষ্যতে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।তিনি বলেন, সব বাধা পেরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিসহ সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপপ্রয়াস চলছিল, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সচেতন করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে কাজ করছে।সফটওয়্যার রফতানিকারক মালিকদের সংগঠন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জাব্বার জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বুঝতে কেনিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বারাক ওবামার বক্তব্যই যথেষ্ট। সেখানে ওবামা বলেছেন, আইসিটিতে উন্নয়ন ঘটাতে হলে বাংলাদেশকে ফলো করো। কেনিয়া সরকারকে উদ্দেশ করে বলা ওবামার ওই বক্তব্য সারা বিশ্ব শুনেছে এবং বুঝেছে বাংলাদেশের অবস্থান।তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ১২ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। কিন্তু আজ ৬ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার মধ্যে এসেছে। ২০০৮ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি, বর্তমানে ১৩ কোটি। এসব রূপান্তর তো হয়েছে আমাদের চোখের সামনেই।এদিকে দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, অর্থনীতির উন্নয়নসহ দেশ সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপে এমন তথ্য জানানো হয়।গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার্সের তত্ত্বাবধানে গত বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ২ হাজার ৫৫০ জনের ওপর ওই জরিপ পরিচালনা করে আইআরআই। এ বছরও একই ধরনের জরিপের কাজ চলছে। আগামী বছরের প্রথম মাসেই (জানুয়ারি) জরিপের ফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।আইআরআই বলছে, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী। তাদের (জরিপে অংশগ্রহণকারীরা) নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ সক্ষমতা আরো বাড়বে।আইআরআই এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ড্রেক লুইটেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে অর্থনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে সব ক্ষেত্রেই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্ব মানচিত্রে একটি ব্যতিক্রম উদাহরণ।আরএম/আরএস/এমএফ/এবিএস

Advertisement