রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার মজিবর বাহিনীর বিচারসহ জুলুম ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে ঢাকা শহরে মাংস ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। সংবাদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আযোজন করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম অভিযোগ করেন, রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার মজিবর দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। এর প্রতিবাদ করায় বিচারের নামে মাংস ব্যবসায়ীদের উপর শারীরিক আক্রমন, জোর জুলুম ও চাঁদাবাজি করছে মজিবর বাহিনী। তিনি বলেন, এ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম ও মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক ডায়রি ও মামলা করা হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। উল্টো তাদের জোর জুলুম ও চাঁদাবাজি বেড়েই চলছে। এখন তারা আমাদের ওপর শারীরিক আক্রমন করছে। রবিউল আলম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মাংস ব্যবসায়ী গোলাম মর্তুজা মন্টুর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই ইজারাদারদের অপকর্ম জুলুম ও চাঁদাবাজিতে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ঢাকায় মাংস ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। না হয় জনগনের কাছ থেকে গলা কেটে মাংসের মূল্য আদায় করতে হবে। তারা বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা যখন প্রতিবাদ করি তখনই সন্ত্রীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। আর প্রশাসনও নিরব থাকে। বারবার এর প্রতিকার চেয়েও কোনো সূরাহা হয়নি। এ বিষয়ে আগামী ১ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্টে শুনানি হবে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র শুনানি করেও রেজুলেশন দিচ্ছেন না। তারা বলেন, মুজিবর বাহিনী আজ অপ্রতিরোধ্য। যে কোনো সময় মাংস ব্যবসায়ীদের জীবননাশের আশংকা ব্যক্ত করে তিনি প্রশ্ন করেন এর দায় কে নিবে? একই সঙ্গে রাজধানীর যানজোট কমাতে, ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা বাড়ানো ও গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি গরুর হাট স্থাপনের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টুসহ সমিতির সদস্য শামিম আহম্মেদ, ফরিদ আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এসআই/এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement